top of page

শিল্পপতিদের মাথা খাটানোর বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

আরজি করে চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও নৃশংস খুনের ঘটনায় সোমবারই মূল অপরাধী সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেছেন শিয়ালদা কোর্টের বিচারক অনির্বাণ দাস৷ কিন্তু সেই রায় যে তাঁর নাপসন্দ, গতকালই তা জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মঙ্গলবার মালদা জেলার প্রশাসনিক সভায় তিনি আরও একবার আদালতের রায়ের বিরোধিতা করেন৷ জানিয়ে দেন, তিনি নিজে একজন আইনজীবী৷ ফলে আইন তাঁরও জানা আছে৷


মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম, আমরা ফাঁসি চাই৷ কেউ যদি দানবিক হয়, যদি কেউ পাশবিক হয়, তাহলে সমাজ কি মানবিক হতে পারে? মা-বোনদের সম্মানের স্বার্থে আমরা বিধানসভায় অপরাজিতা বিল পাশ করেছি৷ সেই বিলে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে৷ কেউ অ্যাসিডে মুখ পুড়িয়ে দিলে তার জন্যও সেই বিলে শাস্তি রাখা হয়েছে৷ কিন্তু সেই বিল এখনও পাশ করায়নি কেন্দ্র৷ আমরা চাই, এই বিল গোটা দেশের কাছে মডেল হিসাবে তৈরি করা হোক৷’


মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘অনেক যাবজ্জীবন কেসে দেখা গিয়েছে, দু’তিন বছরে অপরাধী প্যারোলে বেরিয়ে যায়৷ তাহলে কি অন্যায়কারীকে আমরা ক্ষমা করে দেব? এই কেসের রায়ে আমি সত্যিই শকড৷ আমি নিজে আইনজীবী ছিলাম৷ বালুরঘাট কোর্টে কোট পরে ছাত্রছাত্রীদের হয়ে মুভ করেছিলাম৷ তাই আইনটা আমি অল্প অল্প জানি৷ এখানে জাজমেন্ট হয়েছে, ইট ইস নট দ্য রেয়ার অফ দ্য রেয়ারেস্ট কেস৷ আমি মনে করি, ইয়েস, ইট ইস দ্য রেয়ার, সেনসেটিভ অ্যান্ড ভেরি ভেরি হিনিয়াস ক্রাইম৷ ক্রাইম করে কেউ বেঁচে গেলে সে আবার ক্রাইম করার চেষ্টা করবে৷ তাকে প্রোটেকশন দেওয়া আমাদের কাজ নয়৷’


মুখ্যমন্ত্রী এদিন নিজের মন্তব্যে বাংলাদেশের সঙ্গে যে কোনও সমস্যা মেটানোর দায় কার্যত কেন্দ্রের কাঁধে চাপিয়ে দিয়েছেন৷ তিনি বলেন, ‘ওপার বাংলায় একটু প্রবলেম হচ্ছে৷ মূলত বিএসএফ-এর সঙ্গে প্রবলেম৷ কিন্তু বর্ডার দেখার দায়িত্ব বিএসএফ-এর৷ কোনও অন্যায় হলে আমরা দেখে নেব৷ কিন্তু বিএসএফ-এর সঙ্গে যদি ওদের ঝামেলা হয় তবে আমাদের গ্রামের লোকজন সেখানে যাবেন না৷ পুলিশকে বলব, মাইকিং করে ভারতীয়দের যেন এপারে নিয়ে আসা হয়৷ বাকিটা প্রশাসন দেখে নেবে৷ আমার বিশ্বাস, একদিন আমাদের সম্পর্ক আবার ভালো হয়ে যাবে৷ কিন্তু কোনো সমাজবিরোধী কিংবা জঙ্গি যাতে কোনও হোটেলে কিংবা কারও বাড়ি ভাড়া নিয়ে বাসা বাঁধতে না পারে তার জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে৷ কারণ, সেক্ষেত্রে দেশ ও রাজ্যের ক্ষতি হবে৷ শান্তি না থাকলে উন্নয়ন হয় না৷’



জেলায় শিল্প স্থাপনের জন্য এদিন শিল্পদ্যোগীদেরও বার্তা দেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান৷ তিনি বলেন, ‘নারায়ণপুরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, কালিয়াচকে সিল্ক পার্ক, ইংরেজবাজারে ফুড পার্ক, মালদা আইআইটি পার্ক গড়ে উঠেছে৷ ৫৭ হাজারের বেশি ক্ষুদ্রশিল্পে এক লাখ মানুষ কাজ করছেন৷ ক্লাস্টার আছে ৪০টি৷ এখানে শিল্পপতিদের অনেক কিছু করার রয়েছে৷ একটু মাথা খাটালেই চলবে৷ মালদা আগে গৌড়বঙ্গের গেটওয়ে হিসাবে পরিচিত ছিল৷ অর্থাৎ এখানে বিজনেস হলে সারা উত্তরবঙ্গ তার সুফল পাবে৷ শিল্পপতিদের কাছে ইন্ডাস্ট্রির কথা শুনে আমরা এখানে শিল্পনগরী তৈরি করেছি৷ তাঁরা আরও ঢেলে সাজান৷ আর ব্যবসা চালুর সময় গরিব মানুষের দিকে নজর দিন৷ প্রতিটি প্রোজেক্টে ১০টা গরিব পরিবারকে ঘর করে দিন৷ তাতে খুব বেশি খরচ হয় না৷ বড়জোর ১৫ লাখ টাকা৷ সরকারি সবার বাড়ির তালিকার বাইরে থাকা মানুষজনকে এভাবেই সাহায্য করুন৷’


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Kommentare


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page