সম্প্রতির নজির মানিকচকে, মিলিত হয়ে কালীপুজো দুই ধর্মের
- আমাদের মালদা ডিজিট্যাল
- Nov 12, 2020
- 1 min read
Updated: Nov 19, 2020
কালীপুজোতে সম্প্রীতির নজির মানিকচকে। হিন্দু-মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের মানুষ মিলিত হয়েই এই পুজোর আয়োজন করে থাকে।
প্রায় ১১৬ বছর আগে মানিকচক থানার সংলগ্ন এলাকা দিয়ে গঙ্গা নদী বয়ে যেত। সেই সময় তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছিল ওই এলাকায়। নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছিল একের পর এক বাড়ি, স্কুল, চাষের জমি। কথিত আছে সেই সময় মানিকচক থানার কর্তব্যরত ফুদিনা সিং নামে এক পুলিশ কনস্টবল মায়ের স্বপ্নাদেশ পান। সেই স্বপ্নাদেশ পরে থানা সংলগ্ন এলাকায় কালীপুজোর আয়োজন করেন তিনি। এলাকার মানুষের বিশ্বাস সেই পুজোর পর শান্ত হয় গঙ্গা। এমনকি থানা অভিমুখ থেকে পরিবর্তিত হয় নদীর গতিপথও। তারপর থেকে প্রতি বছর নিয়ম করে এই কালীপুজো করা হয়। কেবলমাত্র হিন্দুরা নন, প্রথম থেকেই থেকেই এই পুজোয় অংশগ্রহণ করেন ইসলাম ধর্মাবলম্বীরাও। প্রতি বছর পুজো পরিচালনার জন্য কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক পদেও দায়িত্ব দেওয়া দুই সম্প্রদায়ের মানুষকে। এবছর পুজো কমিটির সম্পাদক জামাল খান এবং সভাপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল।
[ আরও খবরঃ ব্রাউন শুগার সহ গ্রেফতার এক মহিলা সহ দুই ]
পুজো কমিটির সম্পাদক জামাল খান জানান, উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ মিলিত হয়ে পুজো পরিচালনা করে। ভক্তি নিষ্ঠার সাথে দুই সম্প্রদায়ের মানুষ পুজোর কয়েকটা দিন মায়ের আরাধনায় মেতে ওঠে। পুজো পরিচালন কমিটির সভাপতি তথা মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল বলেন, মানিকচকের এই পুজো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির। মায়ের পাথরের মূর্তি রয়েছে। যা বিসর্জন হয় না। প্রতিবছর বিভিন্নরকম কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পুজো করা হলেও এবছর করোনা আবহের মধ্যে প্রশাসনিক নির্দেশিকা মেনে পুজো পরিচালনা করা হচ্ছে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments