ছাত্রীকে জোরপূর্বক বিয়ের চেষ্টা, বাধা দিতে গিয়ে আক্রান্ত পরিবার
ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ের চেষ্টার প্রতিবাদ করায় মারধরের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। মারধর করা হয় ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদেরও। আক্রান্তরা বর্তমানে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাটি ঘটেছে মানিকচক থানার মথুরাপুর অঞ্চলের ধনরাজ গ্রামে। ঘটনার তদন্তে নেমে মানিকচক থানার পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করেছে। গোটা ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জানা গেছে, ১৮ বছরের ওই ছাত্রী মথুরাপুর তিলক সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পাঠরত। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় মাস তিনেক আগে প্রতিবেশী যুবক ইন্দ্রজিৎ মহালদার ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ভিনরাজ্যে চলে যায়। ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের প্রয়াসে কোনোক্রমে ছাত্রীটিকে উদ্ধার হয়। আর এই ঘটনা ঘিরে দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ চলছিল। অভিযোগ, মঙ্গলবার আবারও ওই ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ইন্দ্রজিৎ। ছাত্রীর পরিবার বাধা দিতে গেলে ছাত্রী সহ মাকে মারধর করে যুবকটি। এমনকি ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বৌদির পেটে লাঠি দিয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় আক্রান্তদের উদ্ধার করে প্রথমে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতাল ও পরে স্থানান্তর করা হয় মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।
গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মানিকচক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে দুপক্ষই। প্রাথমিক তদন্তের পরে মানিকচক থানার পুলিশ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
ভিডিয়োঃ কৃতাঙ্ক
Yorumlar