মেডিকেল কলেজে প্রসবকালে মৃত্যু, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ
একদিকে সরকার যখন প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব করানোর জন্য প্রচার ও সচেতনতা বৃদ্ধি করেছে সেই সময় প্রসবকালে মৃত্যু হল এক প্রসূতির। তাও আবার যে-কোনো স্থানে নয় খোদ মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হল হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায় যে মানিকচকের ব্রাহ্মণগ্রামের টিওরপাড়া অঞ্চলের বাসিন্দা প্রীতি সরকারের প্রসব বেদনা উঠলে পরিবারের লোকেরা সোমবার সন্ধ্যায় তাঁকে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাঁকে প্রসূতি বিভাগের ১নং ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ যে হাসপাতালে দীর্ঘক্ষণ ধরে তাঁর কোন চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় নি। পরিবারের লোকেরা চিকিৎসকদের বারবার সিজার করে প্রসব করার অনুরোধ করলেও তাতে চিকিৎসকের কর্নপাত করেন নি বলে অভিযোগ পরিবারের লোকেদের। অনেক পরে চিকিৎসকেরা প্রীতিদেবীকে লেবার রুমে নিয়ে যেতে বলেন। লেবার রুমে নিয়ে যাবার পথে প্রীতিদেবীর মৃত্যু হয়। অভিযোগ ওঠে যে বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেবার চেষ্টা করে। কিন্তু পরিবারের লোকেরা চিকিৎসার গাফিলতির দাবি করে ইংরেজবাজার থানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃতের দেহের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার ময়নাতদন্তের পর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। হাসপাতালের সুপার অমিত দাম জানান যে মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে, ঘটনার তদন্ত করা হবে। প্রসঙ্গত প্রীতিদেবীর ৩ বছরের এক কন্যাসন্তান আছে।
পরিবারের লোকেদের অভিযোগ যে হাসপাতালে দীর্ঘক্ষণ ধরে তাঁর কোন চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় নি। পরিবারের লোকেরা চিকিৎসকদের বারবার সিজার করে প্রসব করার অনুরোধ করলেও তাতে চিকিৎসক কর্নপাত করেন নি।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments