মিটিং-মিছিল-দেওয়াল লিখন নিষেধ, রাজনৈতিক দলগুলিকে হুঁশিয়ারি গ্রামবাসীদের
চারিদিকে যখন পঞ্চায়েত নির্বাচনের উৎসব সেই সময় ফিকে হয়ে রয়েছে হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচণ্ডী গ্রামপঞ্চায়েতের লোটাভাঙা গ্রাম৷ কারণ, গ্রামবাসীদের কড়া হুঁশিয়ারি এলাকায় কোনও রাজনৈতিক দলের মিটিং-মিছিল করা যাবে না। এমনকি গ্রামে দেওয়াল লিখন পোস্টার ব্যানার লাগাতে এলেও কঠোর সাজার মুখে পড়তে হবে। গ্রামের ঢোকার মুখে অশ্বত্থ গাছে বস্তা আটকে এমনই নিদান দেওয়া হয়েছে।
হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচণ্ডী গ্রামপঞ্চায়েতের লোটাভাঙা গ্রামে প্রায় ১০০ পরিবারের বসবাস। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এলাকায় প্রায় ৭০০ মিটার রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে রয়েছে। সমস্যা রয়েছে পানীয় জলেরও। বারবার পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও ফল মেলেনি। প্রতিবার ভোট আসতেই তাঁদের আশ্বাস দেওয়া হলেও কোনও কাজ হয় না। তাই এবার ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওই গ্রামের লোকজন।
স্থানীয় বাসিন্দা প্রদীপ সোরেন জানান,
গ্রামের রাস্তা এতটাই খারাপ অসুস্থ ব্যক্তিদের নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায় না। গ্রামের এক প্রান্তে পানীয় জলের কোনও ব্যবস্থা নেই। এখন বলা হচ্ছে পঞ্চায়েত নাকি ভাগ হয়ে গিয়েছে। তাই কিছু করা যাবে না। অথচ এখানে সবাই তৃণমূলের। তাই আমরা ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা সবাই মিলে এই পোস্টার দিয়েছি৷
হবিবপুরের বিডিও সুপ্রতিম সাহা জানান,
এমজিএনআরইজিএস প্রকল্পে ওই এলাকায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তার কাজ ধরা হয়েছিল৷ কিন্তু হঠাৎ ওই প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কাজ শুরু করা যায়নি৷ প্রকল্পটি ফের চালু হলে এই রাস্তার কাজও শুরু হবে৷ জলস্বপ্ন প্রকল্পে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে৷
এদিকে ঘটনার জেরে সমস্যায় রাজনৈতিক দলগুলি। দুই দলের পক্ষ থেকেই গ্রামবাসীদের ভোটদানে এগিয়ে আসতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। বিজেপির তরফে সাংসদ ও বিধায়ক তহবিল থেকে রাস্তা ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। শাসকদলের তরফে জানানো হচ্ছে, ১০০ দিনের প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রাস্তার কাজ করা যায়নি।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Hozzászólások