স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের সূত্রে ধরে উদ্ধার অপহৃত ছাত্র
অবশেষে খোঁজ মিলল অপহৃত ছাত্রের। অপহরণের অভিযোগে ওই ছাত্রের কাকা সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া ছাত্রকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার পাশাপাশি ধৃতদের আজ মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছে।
কালিয়াচক ১ নম্বর ব্লকের জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়নগর ডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ইনজামুল হক। গত শুক্রবার বিকেলের পর থেকে আর খোঁজ মিলছিল না ইনজামুলের। পরিবারের লোকজন পরদিন কালিয়াচক থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তাঁর বাবা জানিয়েছিলেন, ছেলেকে দিয়ে ফোন করিয়ে ৬০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে। পৈতৃক সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে দাদা ও বোনের সঙ্গে গণ্ডগোল চলছিল তাঁদের। এই ঘটনায় তাঁদের হাত থাকতে পারে বলেও অনুমান করেছিলেন তিনি। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শনিবার রাতেই দাদা এমাজুদ্দিনকে আটক করে।
দফায় দফায় জেলার মুখে এক সময় সে স্বীকার করে নেয়, সম্পত্তিগত ঝামেলার জেরে ভাইপোকে অপহরণ করেছে৷ সোমবার রাতে জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সীমানা ঘেঁষা একটি গোপন ডেরা থেকে ইনজামুলকে উদ্ধার করে পুলিশ।
জেলা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ইনজামুলকে উদ্ধারের জন্য তিনটি তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছিল৷ তদন্তে নেমে প্রথমেই যে ফোন নম্বর থেকে ৬০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল, সেই ফোনটিকে ট্র্যাক করার চেষ্টা করা হয়৷ কিন্তু ফোনটি সুইচ অফ থাকায় তা সম্ভব হয়নি৷ জেলা পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের সূত্র ধরে স্থানীয় একটি মোবাইল ফোন সারাইয়ের দোকান থেকে একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে এক সময় সে স্বীকার করে নেয়, তারাই ইনজামুলকে অপহরণ করেছে৷
পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব জানান, এই ঘটনায় ওই ছাত্রের কাকা এমাজুদ্দিন শেখ সহ তার দুই সহযোগী সামাউল মোমিন ও আকাশ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ উদ্ধার হওয়া ছাত্রকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার পাশাপাশি ধৃতদের মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments