বেহাল নিকাশি, উদাসীন পুরসভা, ড্রেন তৈরিতে নেমে পড়ল পুরবাসীরা
বেহাল নিকাশি ব্যবস্থা। পুরসভাকে বারবার জানিয়েও কোনও ফল মেলেনি। বাধ্য হয়েই এলাকাবাসীরাই শ্রমিক নিয়োগ করে নিকাশি ব্যবস্থা সংশোধনের কাজ শুরু করল। এদিকে, লকডাউনের জন্য শ্রমিক পাওয়া যায়নি বলে পুরকর্তৃপক্ষ দাবি করেছে। যদিও লকডাউনে এলাকাবাসীরা কীভাবে শ্রমিক নিয়োগ করল তা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে পুরাতন মালদা পুরকর্তৃপক্ষ।
দীর্ঘদিন ধরে বেহাল নিকাশি ব্যবস্থা পুরাতন মালদা পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ড মহানন্দা কলোনিতে। একাধিকবার পুরসভাকে জানিয়ে কোনও ফল মেলেনি। এদিকে, বৈশাখ মাস থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে জেলায়। বৃষ্টির জল জমে রয়েছে রাস্তায়। বাধ্য হয়েই এলাকাবাসীরাই শ্রমিক নিয়োগ করে নর্দমা তৈরির কাজ শুরু করল।
[ আরও খবরঃ কোনও উপসর্গ ছাড়াই এবার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ ]
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত ১০-১২ দিন ধরেই বৃষ্টির জল জমে রয়েছে এলাকায়৷ দীর্ঘদিন ধরে নর্দমা হবে বলে জানিয়েও পুরকর্তৃপক্ষ কাজ করেনি৷ কাউন্সিলর ও চেয়ারম্যান এলাকা পরিদর্শন করে গেলেও কাজ শুরু হয়নি। বাধ্য হয়ে নিজেরাই শ্রমিক নিয়োগ করে কাজ শুরু করেছে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
এলাকার সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা বর্তমান তৃণমূল কাউন্সিলর রূপালি সরকারের স্বামী বিষ্ণুপদ সরকার৷ তিনি বলেন, ওই এলাকায় জল জমার সমস্যা দীর্ঘদিনের৷ নর্দমা তৈরির জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়াও শেষ হয়ে গিয়েছে৷ কিন্তু লকডাউনের মধ্যে শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না৷ সেই কারণেই কাজ শুরু করা যায়নি৷
টপিকঃ #Lockdown
Comments