পচাগলা দেহ উদ্ধারে রহস্য!
- আমাদের মালদা ডিজিট্যাল
- Sep 12, 2024
- 2 min read
ঘরের শৌচালয় থেকে ব্যক্তির পচাগলা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য রতুয়া ২ ব্লকের কোকলামারি গ্রামে। ওই বাড়িতে পরিবারের অন্য সদস্যরা থাকলেও কেন তাঁরা বিষয়টি জানতে পারেননি, তা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে রহস্যের দানা বেঁধেছে। এই ঘটনায় মৃত ব্যক্তির ভাইকে আটক করে তদন্ত শুরু করেছে পুখুরিয়া থানার পুলিশ।
মৃত ব্যক্তির নাম অজয় মণ্ডল (৪৬)৷ তিনি একটি ফাস্ট ফু়ড সংস্থায় কাজ করতেন৷ একই ভিটেয় পরিবার নিয়ে বাস করেন তাঁর ভাই শংকর মণ্ডল৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে অজয়ের ঘর থেকে দুর্গন্ধ বেরোতে থাকে। অনেক দূর পর্যন্ত দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা ঘরের দরজা খুলে বাথরুমে অজয়ের ঝুলন্ত পচাগলা দেহ দেখতে পান৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেলে পাঠায় পুখুরিয়া থানার পুলিশ৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে ভাই শংকরের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল অজয়ের৷ বাবার থেকে সমস্ত সম্পত্তি নিজের নামে লিখিতে নিয়েছিলেন শংকর। সেই কারণে, অজয়বাবুর স্ত্রী একমাত্র মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। তবে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক ছিন্ন হয়নি।
অজয়বাবুর মেয়ে সুপ্রিয়া জানায়, নিজের ফোন না থাকলেও বাবা অন্যের ফোন নিয়ে কথা বলত। গত কয়েকদিন ধরে বাবা ফোন না করায়, যার মোবাইল থেকে বাবা ফোন করত, তাকে ফোন করে বাড়িতে যেতে বলি। সে বাড়িতে আসে৷ আমাকে জানায়, বাড়ির ভিতর থেকে গন্ধ বেরোচ্ছে৷ যে বাড়ির ভিতর থেকে মৃতদেহের দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে, সেই বাড়িতে থাকা লোকজনের নাকে সেই গন্ধ যাবে না? আমার বাবা আত্মহত্যা করতে পারে না৷ সম্পত্তির জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে৷

অজয়ের এক দাদা দিলীপকুমার মণ্ডল জানান, কয়েকদিন আগে অজয়ের মেয়ে আর তার এক বান্ধবী বাড়িতে এসেছিল৷ বাড়ি পরিষ্কার করছিল৷ সেদিন অজয় খুব খুশিতে ছিল৷ মেয়েকে খুব ভালোবাসত অজয়৷ ওর ভাই শংকর ওকে সমস্ত সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ করে দিয়েছিল৷ ওর নিজের তৈরি বাড়িটাও শংকর ছিনিয়ে নিয়েছিল৷ সেই কারণে অজয়ের স্ত্রী, মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যান৷ কীভাবে এই ঘটনা ঘটল পুলিশ তা তদন্ত করবে।
পুখুরিয়া থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় অজয়বাবুর ভাইকে আটক করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় এখনও পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments