ছাদ থেকে ছাত্রের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার, ঘটনা নিয়ে রহস্য
বাড়ির ছাদ থেকে এক ছাত্রের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কালিয়াচকে। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে রহস্য দেখা দিয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কালিয়াচক থানার পুলিশ।
মৃত ছাত্রের নাম সামিউল ইসলাম (১৭)। বাড়ি কালিয়াচক ১ নম্বর ব্লকের জালুয়াবাথাল গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীরামপুর গ্রামে৷ স্থানীয় একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত সামিউল৷ পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর খানেক আগে মোটরবাইক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিল সামিউল। রাঁচিতে তার চিকিৎসাও চলছিল। চিকিৎসকরদের পরামর্শ মতো তাকে কোনও কাজে চাপ দিত না কেউই। তবে রিল বানানোর নেশা ছিল সামিউলের। আজ দুপুরে বাড়ির ছাদ থেকে সামিউলের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়।
সামিউলের মা রুমালি বিবি জানান, বাড়ির কারও সঙ্গে কোনও ঝামেলা হয়নি৷ গতকাল বন্ধুদের ডেকে বাড়িতে আড্ডাও দিয়েছিল। আজ সকালেও আমার সঙ্গে বসেই চা খেতে খেতে জানায়, আজ দোকান খুলতে যাবে না৷ বেলা বাড়লে আমি মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যায়। স্কুলে যাওয়ার সময় দেখি ছেলে বাইক নিয়ে বাড়ি ফিরছে। স্কুলে পৌঁছতেই ছেলে ফোন করে জানায়, মেয়েকে নিয়ে যেন আমি বাড়ি ফিরে আসি। এনিয়ে ছেলেকে প্রশ্ন করার চেষ্টাও করেছিলাম। অবশেষে মেয়েকে বাড়ি নিয়ে আসি। বাড়ির সামনে জটলা দেখে সন্দেহ হয়। তখনই জানতে পারি, ছাদে ছেলের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে।
এসডিপিও (কালিয়াচক) ফয়সাল রেজা জানান, মৃতের মাথায় ক্ষতচিহ্ন রয়েছে৷ প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে, গুলি করা হয়েছে৷ তবে ঘটনাস্থল থেকে কোনও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়নি৷ ওই ছাত্র আত্মঘাতী হলে ছাদেই আগ্নেয়াস্ত্র পড়ে থাকার কথা ছিল৷ সে আগ্নেয়াস্ত্রই বা কোথায় পেল? তদন্তে সমস্ত ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ মালদা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে৷
গোটা ঘটনায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যদি নিয়ে রিল বানানোর সময় এই ঘটনা ঘটে তবে আগ্নেয়াস্ত্র কোথায় গেল? আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া না যাওয়ার অর্থ সেখানে নিশ্চিতভাবে আরও কেউ ছিল। যদি তাও না হয় তবে কোথা থেকে গুলি চালানো হয়েছে?
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments