মহিলার অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধারে রহস্য
কলাখি স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় মহিলার অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মৃতদেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি চাকু। এই ঘটনায় মৃত মহিলার স্বামী ও ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
মৃত গৃহবধূর নাম রিঙ্কি দেবী (৩২)। স্বামীর নাম এল রাহুল, গ্রুপ ডি কর্মী হিসেবে গেটম্যানের কাজ করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমদিকে একলাখি এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকলেও বেশ কয়েক বছর আগে থেকে রেল দফতরের আবাসনে থাকছিলেন তাঁরা। তাঁদের বড়ো ছেলে বিহারের বাড়ি থেকেই পড়াশোনা করে। তবে বেশ কয়েক বছর ধরেই রিংকি দেবীর বোন আবাসনে আসা-যাওয়া করতেন। কয়েকদিন আগে রাহুলবাবু রিঙ্কিদেবীর বোনকে বিহারের বাড়িতে রেখে আসেন। আজ সকালে রিঙ্কিদেবীর ছোটো ছেলেকে রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে দেখে, স্থানীয় বাসিন্দারা তার স্কুল না যাওয়ার কারণ জানতে চান। এরপরেই ছোটো ছেলে জানায়, সকাল থেকে রিঙ্কিদেবীকে খুঁজে পাচ্ছে না সে। তাই এদিক ওদিক খোঁজ করছে। এরপরেই খোঁজ করতে গিয়ে রিঙ্কিদেবীর খুনের বিষয়টি সামনে আসে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মৃত মহিলার গলায় গভীর ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। পরনে নাইটি থাকলেও দেহের নিম্নাংশ অনাবৃত অবস্থায় ছিল। মৃতদেহ থেকে খানিক দূরে একটি চাকু এবং জন্মনিরোধক পাওয়া গিয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে মৃত মহিলার ছেলে জানিয়েছে, তার বাবা ভোর চারটের সময় ডিউটির জন্য বেরিয়ে যায়। এরপর তার মা নাকি রেললাইনের দিকে ঘুরতে গিয়েছিল। এদিকে, রাহুলবাবুর মুখে কিছু ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। যদিও তাঁর দাবি, ডিউটিতে যাওয়ার সময় মোটরবাইক থেকে পড়ে তাঁর মুখে আঘাত লেগেছে।
[ আরও খবরঃ ফের করোনায় মৃত্যু, উদবিগ্ন জেলা স্বাস্থ্য দফতর ]
পুলিশসুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানান, মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে। আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে মৃতের স্বামী ও ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments