ষড়যন্ত্রকারী তকমার পরই দল থেকে বহিষ্কৃত নন্দু
জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি দুলাল সরকার খুনের মূল ষড়যন্ত্রকারীর অভিযোগে ধৃত শহর তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে বহিষ্কার করল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে একথা ঘোষণা করেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি আবদুর রহিম বকসি। এনিয়ে নরেন্দ্রনাথের প্রতিক্রিয়া, দল যা ভালো বুঝেছে করেছে৷
গতকাল কলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলন করে দুলাল সরকারের খুনের ঘটনায় মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি ও স্বপন শর্মার নাম সামনে আনেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার। যদিও গতকাল দিনভর এনিয়ে নন্দুবাবু দাবি করেছেন, ঘটনার পেছনে বড়ো মাথা রয়েছে। ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন তিনি। ওই বড়ো মাথা মালদারই বাসিন্দা। নন্দুবাবুর এই দাবির পরই, শহর জুড়ো শোরগোল পড়েছে। কারণ, এর আগে দুলালবাবুর স্ত্রীও একই দাবি করেছিলেন।
এদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা তৃণমূলের কার্যালয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি আবদুর রহিম বকসি, পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরি, জেলা মুখপাত্র আশিষ কুণ্ডু সহ অন্যান্যরা।
রহিম বকসি বলেন, কয়েকদিন আগে আমাদের দলের জেলা কমিটির সহ সভাপতি বাবলা সরকার দুষ্কৃতীদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন৷ পুলিশ দ্রুতগতিতে তদন্ত শুরু করে, একের পর এক আসামিকে ধরেছে। গত পরশু এই ঘটনার তদন্তে নন্দু তিওয়ারি ও স্বপন শর্মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ডেকে পাঠায়৷ জেরাতে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি বুঝতে পেরে দু’জনকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নন্দু তিওয়ারি আমাদের দলের শহর কমিটির সভাপতি ছিল। কিন্তু দুষ্কৃতীদের কোনও রং হয় না৷ তাই দলীয়ভাবে নন্দু তিওয়ারিকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ থেকে নন্দু তিওয়ারির সঙ্গে দলের সম্পর্ক নেই৷
নন্দুবাবু বারবার দাবি করছেন, ঘটনার পেছনে বড়ো মাথা রয়েছে। এনিয়ে প্রশ্ন করতেই রহিম বকসিকে থামিয়ে কৃষ্ণেন্দুবাবু জবাব দেন, এটা পুলিশ দেখছে৷ যদি দোষী কাউকে পাওয়া যায়, সে যে দলেরই হোক, পুলিশ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comentarios