top of page

কুপিয়ে খুনের ঘটনায় রিপোর্ট তলব জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের

গত ২৭ অক্টোবর কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল গাজোলের খোসলাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ধনঞ্জয় সরকারকে (৫২)৷ ধনঞ্জয়বাবু বিজেপি কর্মী হওয়ায় তাঁকে খুনের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় পঞ্চায়েত প্রধান সুবোধ সরকারের পাশাপাশি তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ইমাদুর রহমানেরও নাম জড়িয়ে পড়ে৷ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গাজোল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ধনঞ্জয়বাবুর স্ত্রী লতিকা সরকার৷ অভিযোগ, অভিযুক্তদের থানায় ঘুরতে দেখা গেলেও পুলিশ নাকি অভিযুক্তদের খোঁজ পায়নি। প্রায় চার মাস হতে চললেও ওই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় ধনঞ্জয়বাবুর পরিবারের লোকজন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন। জানা গিয়েছে, কমিশনের তরফে চার সপ্তাহের মধ্যে পুলিশসুপারের কাছে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করা হয়েছে৷


ধনঞ্জয়বাবুর স্ত্রী জানান, প্রধান বিজেপির টিকিটেই জেতার পর তৃণমূলে চলে যায়৷ তাঁদের নিজস্ব পুকুরকে ১০০ দিনের কাজে ঢুকিয়ে ওরা লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে৷ বিরোধিতা করায় প্রধান মদ্যপ অবস্থায় তাঁর স্বামীকে খুন করে৷ থানায় দু’বার অভিযোগ জানানো হলেও পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি৷ শেষ পর্যন্ত তাঁরা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন।



ঘটনাপ্রসঙ্গে বিজেপির উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা আইনজীবী উজ্জ্বল দত্ত জানান, তৃণমূলের দুর্নীতির প্রতিবাদে সামিল হওয়ায় খুন হতে হয়েছে ধনঞ্জয়বাবুকে। এই ঘটনায় পরিবারের তরফে অভিযুক্তদের নাম দিয়ে গাজোল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি৷ প্রতিবাদে স্থানীয় মানুষজন প্রায় আট ঘণ্টা গাজোল থানা ঘেরাও করে রাখলেও পুলিশের টনক নড়েনি৷ শেষ পর্যন্ত ধনঞ্জয়বাবুর বাড়ির লোকজন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ জানাতে বাধ্য হন৷ অভিযোগের ভিত্তিতে কমিশন চার সপ্তাহের মধ্যে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট পুলিশসুপারের কাছে তলব করেছে৷ এরপরেও পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন, উচ্চতর আদালতের দ্বারস্থ হবেন।


জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র শুভময় বসু জানান, পশ্চিমবঙ্গে সব ঘটনারই তদন্ত হয়৷ বিজেপি আজেবাজে কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।




আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

تعليقات


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page