ভোট পরবর্তী হিংসাঃ তদন্তে মালদায় এল কমিশনের দ্বিতীয় টিম
ভোট পরবর্তী হিংসা খতিয়ে দেখতে মালদায় এসেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। বুধবার রাতে সেই প্রতিনিধি মালদা থেকে মুর্শিদাবাদের দিকে রওয়ানা দেয়। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে মালদায় আসে আরও একটি দল। আজ তাঁরা জেলার পাঁচটি থানা এলাকার প্রায় ৩০ জনের সঙ্গে কথা বলেন। পাশাপাশি আজ গাজোল, মোথাবাড়ি, হবিবপুর, বৈষ্ণবনগর ও কালিয়াচক থানার আইসি এবং ওসিদেরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়।
ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার, গাজোলের কেনবোনা গ্রামের বাসিন্দা তপেশ সরকার জানান, তিনি বিজেপির বুথ সভাপতি। বিধানসভা ভোটের পর বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য নারায়ণ মণ্ডল তৃণমূলে চলে যায়। তাঁরা প্রতিবাদ করায় নারায়ণ পালিয়ে যায়। এরপরে গাজোল থানার আইসি এবং তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনী তাঁর বাড়িতে হামলা চালায়। স্ত্রী, তিন মেয়ে সহ গ্রামের একাধিক মহিলার উপর অত্যাচার চালানো হয়। ঘটনার পর থেকে তিনি ও তাঁর পরিবার পালিয়ে রয়েছেন। পুলিশ তাঁদের তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে। থানায় গেলেই গ্রেফতার করা হবে বলছে। বলছে, তৃণমূলের ঝাণ্ডা ধরলে সব ঠিক হয়ে যাবে।
সুব্রত সরকার নামে আরেক ব্যক্তি জানান, ভোটের ফল ঘোষণার দিন ভাইকে যৌন নির্যাতন করে খুন করা হয়েছিল। রামনাথ মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি তাঁর ভাইকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করে। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তৃণমূলের লোকজনরাই কাকার ছেলেকে খুন করেছিল।
[ আগের খবরঃ ভোট-পরবর্তী হিংসা খতিয়ে দেখতে মালদায় কমিশনের দল ]
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Комментарии