ভোট মিটতেই প্রয়োজন ফুরিয়েছে দুর্গতদের
ভোট মিটতেই যেন প্রয়োজন ফুরিয়েছে দুর্গত পরিবারগুলির। তাই ভোট পেরোতেই বন্ধ হয়েছে খাবার, বিদ্যুৎ সংযোগ। এভাবেই দিন গুজরাচ্ছে রতুয়া ১ ব্লকের মহানন্দটোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বলরাপুর বাঁধ সংলগ্ন দুর্গত পরিবারগুলির।
উল্লেখ্য, গত ১ মে দুপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সর্বস্ব হারিয়েছেন ৭০টি পরিবারের লোকজন। অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছিল ৭১ বছর বয়সী বীণাপাণি মণ্ডলের। ভোট মরশুমে সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে দুর্গতদের কাছে পৌঁছনোর প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। ভোটের মুখে অগ্নিকাণ্ডে বিধ্বস্ত পরিবারগুলি যাতে ভোটদান থেকে সরে না যায়, তার জন্য তৎপরতা৷ ব্লক প্রশাসনের তরফে দুর্গতদের খাবার দেওয়া শুরু হয়৷ দেওয়া হয়েছিল অস্থায়ী বিদ্যুৎ সংযোগ৷ সব কাজই হয়েছিল দ্রুত গতিতে। কিন্তু ভোট যুদ্ধ মিটতেই যেন প্রয়োজন ফুরিয়েছে ওই পরিবারগুলির।
এক দুর্গত সুকুমার মণ্ডল জানান, সব হারিয়ে ত্রিপলের নীচে বসবাস করছি৷ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর ভোটের মুখে নেতা-মন্ত্রী, বিডিও সবাই এসেছিল৷ তাঁরা অনেক প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন৷ বিডিও নিজে খাবারের ব্যবস্থা করেছিলেন৷ বিদ্যুতের ব্যবস্থাও হয়েছিল৷ কিন্তু ভোটের পরদিন থেকে সব বন্ধ৷ বিদ্যুৎ সংযোগও কেটে দেওয়া হয়েছে৷ পরবর্তীতে কেউ আসেনি, কেউ খোঁজও নেয়নি৷ এই গরমে ত্রিপলের নীচে থাকা যায় না৷ তাই ত্রিপলের ছেড়ে বেরিয়ে এসে গাছতলায় আশ্রয় নিতে হচ্ছে।
আরেক দুর্গত মমতা মণ্ডল জানান,
ভোটের আগে খাবার দিয়েছিল৷ ভোট পেরোতেই খাবার বন্ধ৷ বিদ্যুতের সংযোগও কেটে দিয়েছে৷ শুধু একটি করে ত্রিপল দিয়েছে৷ ভোটের পর কেউ এলাকায় আসেননি৷ নেতা-মন্ত্রী, বিডিও কিংবা কোনও সরকারি কর্মীকে এখানে আর দেখা যায়নি৷ আমরা পুনর্বাসনের দাবি জানাচ্ছি।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments