সব পরিযায়ী শ্রমিকদের করোনা পরীক্ষা হবে না, আতঙ্কে জেলাবাসী
দীর্ঘ লকডাউনের পর জেলায় ফিরছে ভিনরাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিকরা। আজ সকালে হায়দরাবাদ থেকে ১,৪৯২ জন শ্রমিক নিয়ে একটি স্পেশাল ট্রেন মালদায় এসে পৌঁছয়। তবে ভিনরাজ্য ফেরত ওই শ্রমিকদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। জেলাশাসক জানিয়েছেন, সব ভিনরাজ্য ফেরত শ্রমিকদের লালারসের পরীক্ষা করা হবে না।
জেলায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। এপর্যন্ত জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ জন। আক্রান্তরা সকলেই পরিযায়ী শ্রমিক বলে জানা গেছে। আজ সকালে হায়দরাবাদ থেকে একটি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন মালদা এসে পৌঁছেছে। সেই ট্রেনে অন্যান্য জেলার সঙ্গে মালদার ৪৮০ জন শ্রমিক জেলায় ফিরেছে। সমস্ত শ্রমিকদের বাসে করে নিজ নিজ জেলায় ও ব্লকে পাঠানোর ব্যবস্থা করে জেলা প্রশাসন। তবে কোনও শ্রমিকের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। শুধুমাত্র থার্মাল স্ক্রিনিং করে ও তথ্য সংগ্রহ করে বাসে তুলে দেওয়া হয়েছে শ্রমিকদের।
[ আরও পড়ুনঃ শ্রমিক নিয়ে স্পেশাল ট্রেন মালদায়, খাবার না পেয়ে বিক্ষোভ ]
কেন শ্রমিকদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হল না এপ্রসঙ্গে জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র জানান, “এতদিন পর্যন্ত আমরা সকলের লালারস সংগ্রহ করছিলাম৷ কিন্তু এখন প্রচুর শ্রমিক জেলায় ফিরে আসছে৷ তাই দিল্লি, গুজরাট ও মহারাষ্ট্র থেকে আসা শ্রমিকদের লালারস সংগ্রহ করা হবে৷”
দক্ষিণ মালদার সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরি আজ এক সাংবাদিক বৈঠকে জানান, রাজ্য ও কেন্দ্রের সরকার করোনার সংক্রমণ যাতে না বাড়ে তার দিকে নজর দিচ্ছে না। যথাযথ পরীক্ষা ও পৃথকীকরণ ছাড়াই সবাইকে ফিরে আসতে দিয়ে দেশবাসীর স্বাস্থ্য ও জীবন নিয়ে খেলছে। আমাদের দাবি, কোনও পরিযায়ী শ্রমিককেই পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার আগে বাড়িতে পাঠানো যাবে না। তিনি আরও বলেন, পরীক্ষার রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের কোয়ারেন্টাইন সুনিশ্চিত করতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে খাদ্য সরবরাহের একটি জরুরি তহবিল তৈরির প্রস্তাব তিনি করছেন। পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত জেলাতে একই ভাবে এই কাজ হওয়া উচিত।
Comments