top of page

সরকারি জায়গা দখল! পথ অবরোধে এলাকাবাসী

সরকারি জায়গা দখলের অভিযোগ উঠল শাসকদলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়কের ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন এলাকাবাসী। আজ পথ অবরোধ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাঁরা। যদিও জেলা তৃণমূল সভাপতির দাবি, জায়গার রেকর্ড তাঁর পুত্রবধূর নামে রয়েছে। তবে তিনি বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে আনতে রাজি নন।


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রতুয়া হাই মাদ্রাসার সামনে ৩০ শতক জায়গায় ব্রিটিশ আমল থেকেই চলে আসছে হাট। এখন সেখানে দৈনন্দিন বাজার বসে। অভিযোগ, এই হাটের প্রায় নয় শতক অংশ ঘেরার কাজ শুরু করেন মালতিপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুর রহিম বকশির ছেলে বাবু বকশি। বারবার প্রশাসনে অভিযোগ দায়ের করা হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে আজ সকাল থেকে রতুয়া-মহানন্দটোলা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন এলাকার মানুষ।


Occupy-government-place-Locals-blocking-road
আজ সকাল থেকে রতুয়া-মহানন্দটোলা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে রাখেন এলাকার মানুষ

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রহিম বকশির ছেলে বাবু বকশি হাটের সরকারি জায়গা ঘিরতে শুরু করেছে। এনিয়ে ১২ নভেম্বর রতুয়া থানার আইসির কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়। আইসি সাফ জানিয়ে দেন, রহিম সাহেবের বিরুদ্ধে কিছু করা যাবে না। পরদিন ফের হাটের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় মানুষজন রতুয়া থানায় একই অভিযোগ জানাতে যান। বিধায়কের ছেলে জমির নথি দেখাতে পারছেন না। অথচ এই জমি সরকারের সেই নথি রয়েছে তাঁদের কাছে। এখনও পর্যন্ত পঞ্চায়েত, পুলিশ কিংবা প্রশাসন হাট বাঁচাতে কোনও উদ্যোগ নেয়নি।


রতুয়া গ্রামপঞ্চায়েতের তৃণমূলি প্রাক্তন প্রধান শেখ আলমগির রেজা চৌধুরি জানান, মালতিপুরের তৃণমূলি বিধায়ক আব্দুর রহিম বকশির ইশারায় তাঁর ছেলে বাবু বকশি এই হাটে অন্যায়ভাবে নির্মাণকাজ চালাচ্ছেন। তার প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা আজ রাস্তায় নেমেছে। তাঁরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে রয়েছেন। থানার আইসি সাফ জানাচ্ছেন, জেলা তৃণমূলের সভাপতির বিরুদ্ধে তিনি কিছু করতে পারবেন না। যতক্ষণ না জেলাশাসক আসছেন, ততক্ষণ পথ অবরোধ চলবে।


ঘটনা প্রসঙ্গে আব্দুর রহিম বকশি জানান, ওই জায়গা তাঁর পুত্রবধূর নামে রেকর্ড রয়েছে। এনিয়ে তিনি আর কিছু বলতে রাজি নন।




আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Commentaires


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page