বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও ফল মেলেনি, চাঁদা তুলে রাস্তার কাজে কৃষকরা
রাস্তার অভাবে জমিতেই ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ার একাধিক অভিযোগ উঠেছে পুরাতন মালদায়। বারবার স্থানীয় পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, এমনকি ব্লক দফতরেও আবেদন জানিয়ে কোনো ফল না মেলায় অবশেষে নিজেরাই রাস্তা সংস্কারের কাজে নেমে পড়েছেন পুরাতন মালদার কৃষকরা। এক ধাপে টাকা জোগাড় করতে না পারায় ধাপে ধাপে রাস্তার কাজ করছেন তাঁরা। পঞ্চায়েত ভোটের আগেও এনিয়ে মুখে কোনো শব্দ নেই জনপ্রতিনিধিদের।
পুরাতন মালদার সাহাপুর গ্রামপঞ্চায়েতের সাহাপুর, নিত্যানন্দপুর, সুজাপুর, ভাটরা, রশিলাদহ এবং মাধাইপুর এলাকায় টাঙন নদীর ধারে কমপক্ষে ৭০০ বিঘা জমি রয়েছে। প্রায় ২০০ পরিবার এই জমিতে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু রাস্তা না থাকায় সমস্যায় পড়তে হয় চাষিদের। অনেক সময়ই রাস্তা না থাকায় ফসল নিয়ে যেতে না পেরে জমিতে ফসল নষ্ট হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে বারবার প্রশাসনকে জানালেও কোনো ফল মেলেনি। বিডিও এলাকায় ঘুরে গিয়ে রাস্তার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনও তা পূরণ হয়নি। বাধ্য হয়ে রাস্তার কাজে হাত লাগিয়েছেন চাষিরা।
এক চাষি তাফাজুল শেখ জানান,
এলাকার সমস্ত চাষি টাকা দিয়ে টাঙন নদী থেকে বাগদুয়ার খাঁড়ি পর্যন্ত সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করছি৷ প্রয়োজনে লোকের কাছে চাঁদাও তোলা হচ্ছে। রাস্তা না থাকায় সমস্ত চাষিদের ভীষণ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে৷ রাস্তা না থাকায় শ্রমিকরা ধান কাটতে রাজি হয় না৷ গাড়ি ঢুকলে উলটে যায়৷ পঞ্চায়েত-প্রশাসন কারো কোনও উদ্যোগ নেই৷ তাই চাঁদা তুলে রাস্তার কাজ শুরু করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত রাস্তা তৈরিতে ৬ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments