বহরমপুরে ছাত্রীকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার মালদার সুশান্ত
বহরমপুরে ছাত্রীকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় রাজ্য জুড়ে হইচই শুরু হয়েছে। ঘটনায় মৃত ও অভিযুক্ত দুজনেই মালদার বাসিন্দা। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গতকাল সন্ধেয় বহরমপুরের শহিদ সূর্য সেন রোডে সুতপা চৌধুরি নামে এক তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীকে কুপিয়ে খুন করা হয়। সুতপা মালদা শহরের এয়ারভিউ কমপ্লেক্সের বাসিন্দা। বাবা স্বাধীন চৌধুরি হাইস্কুলের শিক্ষক। সুতপা পদার্থবিদ্যা নিয়ে বহরমপুর গার্লস কলেজে তৃতীয়বর্ষে পাঠরত ছিলেন। পড়াশোনার সুবিধার জন্য বহরমপুরের শহিদ সূর্য সেন রোডের একটি মেসে থাকতেন তিনি। অন্যদিকে, অভিযুক্ত যুবক সুশান্ত চৌধুরি মালদা থানার বলরামপুর এলাকার বাসিন্দা। সে পাটনাতে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করে। বাবা পেশায় পুলিশকর্মী। তিনি কনস্টেবল পদে এনজিপিতে কর্মরত।
সুশান্তের কাকিমা জানান, সুশান্ত পড়াশোনার জন্য আগে এয়ারভিউ কমপ্লেক্সে সুতপার বাড়ির পাশেই থাকত। তিনি দু'বছর ধরে তাদের সম্পর্কের কথা জানতেন। সুশান্ত ওই মেয়েটিকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। কিন্তু মেয়ের পরিবারের লোকজন বিয়েতে রাজি হননি। তাঁরা বিয়ের জন্য একাধিকবার অনুরোধও করেছিলেন। কিন্তু মেয়ের পরিবারের লোকজন ক্লাবের ছেলেদের দিয়ে সুশান্তকে মারধর করে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মেয়েটি সুশান্তের থেকে অনেক কিছু নিয়েছিল।
অন্যদিকে, ইংরেজবাজার পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ ঘোষ জানান, সুতপা খুবই ভাল মেয়ে ছিল। সংবাদমাধ্যম থেকে তাঁরা বিষয়টি জানতে পেরেছেন। বহরমপুর থানা থেকে পরিবারের লোকজনকেও ফোন করা হয়েছিল। সুতপা ছোটো থেকে তাঁদের চোখের সামনে বড়ো হয়েছে। খুন হওয়ার মতো কোনও স্বভাব তাঁদের নজরে আসেনি। দোষীর কঠোর শাস্তি দাবি করছেন তাঁরা।
[ আরও খবরঃ গোপনাঙ্গ ও গলা টিপে খুনের অভিযোগ দম্পতির বিরুদ্ধে ]
বহরমপুর পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে সুশান্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সুতপার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments