top of page

তৃণমূল নেতাকে খুনের ঘটনায় অবশেষে গ্রেপ্তার এক

কালিয়াচকে তৃণমূল নেতাকে খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মাত্র একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতকে আজ পুলিশি হেপাজতের আবেদনে মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছে। বাকি খোঁজে পুলিশি তল্লাশি জারি রয়েছে।


মঙ্গলবার সকালে ড্রেনের উদবোধনে গিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে মৃত্যু হয় আতাউল হকের। গুরুতর আহত হন নওদা যদুপুর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি বকুল শেখ ও তাঁর ভাই তথা পঞ্চায়েত সদস্য এসারুদ্দিন শেখ৷ বর্তমানে তাঁরা দুজন মালদা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন৷ গতকালই নিহত আতাউর হক ওরফে হাসার দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে৷ জেলা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মৃত কিংবা আহতদের শরীরে গুলির আঘাতের কোনও চিহ্ন নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, হাসার মাথায় একের পর এক ইটের আঘাত করা হচ্ছে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আমাদের মালদা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ঘটনাস্থলে গুলি চলেছে। ঘটনাস্থলে গুলির খোল পড়ে থাকতেও দেখা গিয়েছে।



ঘটনার পর থেকে এলাকার পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। গতকাল রাতেই ১০জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। আজ সকালে ঘটনাস্থলে নামানো হয় পুলিশ কুকুর। জেলা পুলিশের তরফে প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়, এই ঘটনায় মহম্মদ আমি হামজা (২৪) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


তৃণমূল নেতাকে নৃশংস খুনের ঘটনায় গতকালই কালিয়াচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নিহত নেতার স্ত্রী সুফেরা বিবি। তিনি জানান, স্বামী মোমিনপাড়ায় ড্রেন বানাচ্ছিল৷ রাস্তার কাজের উদ্বোধনের জন্য স্বামীকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল৷ গতকাল জাকিররা সবাই বকুলকে মারতে এসেছিল৷ বকুলকে বাঁচাতে গিয়ে স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। ইট দিয়ে মেরে, হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে আর গুলি করে স্বামীকে খুন করা হয়েছে বলে শুনেছি৷ আমার স্বামী তৃণমূল করত৷ তবে যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে ওরা কোন দলের জানা নেই।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Komentar


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page