বন্দরে আটক পিঁয়াজের বাংলাদেশ যাত্রায় মিলল সবুজ সংকেত
দুই জেলার পিঁয়াজ রফতানিকারকরা অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব কাস্টমস নীলকমল নস্করকে ঘেরাও করে নিজেদের সমস্যা জানালেন। ইংরেজবাজারের মহেশমাটি এলাকায় কাস্টম ডিভিশনে এদিন হাজির হন মালদা ও দক্ষিণ দিনাজপুর দুই জেলার পিঁয়াজ রফতানিকারকরা। আলোচনার পর অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব কাস্টমস জানান, শীঘ্রই মহদীপুর ও হিলি সীমান্তে আটকে পড়া পেঁয়াজ বোঝাই লরিগুলি বাংলাদেশ যেতে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি রুখতে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্র সরকার। এই নির্দেশ লাগু হওয়ার পর মালদার মহদীপুর আন্তর্জাতিক স্থল বন্দরে প্রায় ৪০০ পেঁয়াজ বোঝাই লরি এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি সীমান্তে ২০০ লরি আটকে পড়ে। এলসি থাকা সত্ত্বেও এই গাড়িগুলি সীমান্তে আটকে যায়। উল্লেখ্য, শুধুমাত্র মহদীপুর বন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৭৫ কোটি টাকার ব্যবসা হয়ে থাকে। পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ হওয়ায় বড়ো অঙ্কের টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন জানিয়েছিলেন মহদীপুর সিএনএফ এজেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক ভূপতি মণ্ডল। এদিন দুই জেলার রফতানিকারকরা একযোগে মালদা শহরের মহেশমাটি এলাকায় কাস্টম ডিভিশনে হাজির হয়ে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব কাস্টমস নীলকমল নস্করকে ঘেরাও করে তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। ইতিমধ্যে আটকে পড়া পিঁয়াজে পচন শুরু হয়েছে। ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছে রফতানিকারকরা। দীর্ঘ আলোচনার পর অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব কাস্টমস জানান, শীঘ্রই মহদীপুর ও হিলি সীমান্তে আটকে পড়া পেঁয়াজ বোঝাই লরিগুলি রফতানি করা হবে বাংলাদেশে।
[ আরও খবরঃ বড়ো প্রতিমা গড়তে সাহস পাচ্ছেন না শিল্পী ]
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments