ভোট নয় প্রহসন হয়েছে, মালদায় পুরভোট নিয়ে সরব বিরোধীরা
রবিবার দিনভর উত্তেজনায় ইংরেজবাজারে শেষ হল পুর নির্বাচন। তুলনামূলক শান্তিপূর্ণ ছিল পুরাতন মালদা পুরসভার নির্বাচন। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ইংরেজবাজারে ভোটদানের হার ৮০.২১ শতাংশ। পুরাতন মালদায় সেই হার ৮৬.৮১ শতাংশ। নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রিগিং, ছাপ্পাবাজি, বুথ দখল, বিরোধীদের মারধরের অভিযোগ তুলে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলেছে বাম-বিজেপি ও কংগ্রেস। বিরোধীদের অভিযোগ, প্রশাসন ও পুলিশের সাহায্যে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে রাজ্যের শাসকদল।
রবিবার সকালে উত্তেজনা শুরু হয় ইংরেজবাজারের ১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। সাতসকালে মাথা ফাটে গেরুয়া শিবিরের এক কর্মীর। অভিযোগের তিরে সেখানকার প্রাক্তন কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ দাস। বিজেপির অভিযোগ, প্রাক্তন কাউন্সিলরের নেতৃত্বে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাদের কর্মীর মাথা ফাটিয়েছে। এই ঘটনা চলাকালীনই অভিযোগ ওঠে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে বুথ জ্যাম করে দিয়েছে শাসকদলের বাহিনী। সেখানে প্রাক্তন তৃণমূলি কাউন্সিলর কাকলি চৌধুরি ও তাঁর দলবলের নেতৃত্বে শুরু হয়ে যায় ছাপ্পা ভোট। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনেও চলতে থাকে অন্যের হয়ে ভোটদান। সঙ্গে গালাগালির ফোয়ারা। এরপরের ঘটনাস্থল ৪ নম্বর ওয়ার্ড। দফায় দফায় সেখানে বিজেপি ও তৃণমূল প্রার্থীর মধ্যে বচসা শুরু হয়ে যায়। রামকিঙ্কর বালিকা বিদ্যালয়ের একটি বুথে হাতেনাতে এক ভুয়ো ভোটারকে ধরে ফেলেন বিজেপি প্রার্থী। এখানেও ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর অশোক সাহার বিরুদ্ধে। ৩ নম্বর ওয়ার্ডও এদিন ছিল ঘটনাবহুল। সেখানে এক ভুয়ো ভোটারকে ধরে ধাক্কা দিতে দেখা যায় সিপিএম প্রার্থীকে। ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ থেকে মুক্ত হতে পারেনি এই ওয়ার্ডও। ১১ নম্বর ওয়ার্ডেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগে সরব হয় বিরোধীরা। বিকেলে এই ওয়ার্ডে মাথা ফাটে আরেক বিজেপি কর্মীর।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
تعليقات