অনলাইনে অর্ডার করলেই দেশ জুড়ে মিলবে মালদার আম
এখন থেকে ঘরে বসে সহজেই মালদার আমের স্বাদ নিতে পারবেন সারা দেশের মানুষ। এক ক্লিকেই মালদার আম পৌঁছে যাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। অনলাইনে দেশ জুড়ে মালদার আম পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এক দম্পতি৷ ইতিমধ্যে তাঁদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে৷
ইংরেজবাজারের বালুচর এলাকার বাসিন্দা প্রসূন চিৎলাঙ্গিয়া ও তাঁর স্ত্রী প্রীতা চিৎলাঙ্গিয়া৷ মালদার আমকে দেশের সমস্ত মানুষের কাছে কীভাবে পৌঁছে দেওয়া যায় তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছিলেন তাঁরা। তাঁদের মাথায় আসে অনলাইন পরিসেবা দেওয়ার কথা৷ অবশেষে গত বছর পরীক্ষামূলকভাবে তাঁরা এই পরিসেবা চালু করে দেন৷ প্রথম বছর পাইলট প্রোজেক্ট হিসেবে ক্যুরিয়র সার্ভিসের মাধ্যমে কত কম সময়ে জেলার আম দেশের প্রত্যন্ত এলাকাতেও পৌঁছোনো যায়, এতে আম পচে যাওয়ার সম্ভাবনা কতখানি তা নিয়ে রিসার্চ চলে তাঁদের। এনিয়ে আরও তথ্য পেতে লখনউয়ের সেন্ট্রাল ইন্সটিটিউট অফ সাবট্রপিক্যাল হর্টিকালচার এবং জেলা উদ্যানপালন দফতরের সঙ্গেও যোগাযোগ করেন তাঁরা। এবছর তাঁরা পুরোপুরি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এই পরিসেবা দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন৷ গ্রাহকদের জন্য তাঁরা www.maldaamritfal.com নামে একটি ওয়েবসাইটও তৈরি করেছেন৷ এই ওয়েবসাইট থেকে দেশের মানুষ মালদা জেলার তিন ধরণের আমের (আপাতত) অর্ডার দিতে পারবেন।
প্রসূনবাবু জানান,
আপাতত আমরা হিমসাগর, লক্ষ্মণভোগ ও ল্যাংড়া এই তিন প্রজাতির আমের অর্ডার নিচ্ছি৷ তার দাম ওয়েবসাইটে দেওয়া রয়েছে৷ তার মধ্যেই ক্যুরিয়র চার্জ ধরা রয়েছে৷ দেশের যে কোনও জায়গায় আমরা পাঁচ থেকে ছ’দিনের মধ্যে আম পৌঁছে দেব৷ এই আমে কোনও রাসায়নিক সার কিংবা বিষ ব্যবহার করা হয় না৷ ফলে দেশের মানুষ পুরোপুরি মালদার অর্গানিক আমের স্বাদ পাবেন৷
তিনি আরও বলেন, এখনও মালদার আম পুরোপুরি পরিপক্ক না হওয়ায় এখনও আম সরবরাহ শুরু করিনি। তবে চলতি মাসের শেষ থেকে আম সরবরাহ শুরু করব৷ প্রতিটি প্যাকেট চার কেজির হচ্ছে। তবে পচনশীল বস্তু হওয়ায় প্রতিটি প্যাকেটে আমরা অতিরিক্ত ৫০০ গ্রাম আম প্যাকেটে দিচ্ছি। ভবিষ্যতে আমরা আম থেকে তৈরি বিভিন্ন তরল, আমসত্ত্ব, জ্যাম, জেলি নিয়েও কাজ করতে চাই৷
জেলা উদ্যানপালন দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর সামন্ত লায়েক বলেন, মালদার আমকে অনলাইনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এক ব্যক্তি যোগাযোগ করেছিলেন। গত বছর তিনি পরীক্ষামূলকভাবে এই পরিসেবা শুরু করেছিলেন। এই পরিসেবা থেকে মালদার আমের যেমন প্রসার ঘটবে, তেমনই জেলার অর্থনীতি আরও দৃঢ় হবে৷ দফতরের তরফে ওনাকে প্যাকেজিং, লেভেলিং, বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে কীভাবে আম গ্রাহকদের ঘরে পৌঁছে দেওয়া যায় সেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সারা বিশ্ব জুড়ে এভাবে মালদার আমকে ছড়িয়ে দেওয়া আমাদের লক্ষ্য।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
コメント