ঘটনাস্থলে এখনও রক্তের দাগ, আতঙ্কের আবহেই চলল পরীক্ষা
২৪ ঘণ্টার বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়েছে। এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের হাওয়ায় শুধুই আতঙ্কের গন্ধ। ঘটনাস্থলে এখনও পড়ে চাপচাপ রক্ত। এই পরিস্থিতির মধ্যেই সেই বিজ্ঞান বিভাগে পরীক্ষা দিলেন পড়ুয়ারা। আতঙ্কের জেরে এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার অনেকটাই কম ছিল বলে দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীরা। আগত পড়ুয়াদের মনোবল বাড়াতে প্রতিটি বিভাগে গিয়ে বার্তা দিয়েছেন খোদ উপাচার্য।
উপাচার্য পবিত্র চট্টোপাধ্যায় জানান, “আজ সমস্ত বিভাগে গিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেছি। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যত সম্ভব একা না ঘোরা, যদি কাউকে সঙ্গে না পাওয়া যায় তবে সিকিউরিটি অফিসারকে নিজের অবস্থানের কথা জানানোর কথা বলেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তার গাফিলতি নেই। গলায় পরিচিতি পত্র ঝুলিয়েই পড়ুয়ারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। দীর্ঘদিন ধরে পরিচিতির ফলে অনেক সময় হয়তো পরিচিতি পত্র দেখা হয় না। ক্যাম্পাসে যথেষ্ট সিসি ক্যামেরা রয়েছে। সিসি ক্যামেরা নির্দিষ্ট অ্যাঙ্গেলে ছবি ক্যাপচার করে। হয়তো সেই সুযোগ নেওয়া হয়েছে। ফিজিক্স বিভাগের ওই ছাত্র এবং অংক বিভাগের ওই ছাত্রী দুজনেরই এই বিষয়গুলো ভালো মতই জানা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তার ঘাটতি রয়েছে বলে মনে হয় না।”
এদিকে গতকালের ভয়াবহ ঘটনার পর আজ আতঙ্কের মধ্যেই পরীক্ষা দিয়েছেন অংক বিভাগের পড়ুয়ারা। এক পড়ুয়া শুভঙ্কর বর্মণ জানান, “গতকাল ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের দিকে গিয়েছিলাম। পুরো ঘটনা মনে পড়তেই ওই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে এসেছি। আমাদের মধ্যে একটা আতঙ্ক কাজ করছে। সেই আতঙ্ক নিয়েই আজ পরীক্ষা দিয়েছি। ক্যাম্পাসে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষকে আরও সতর্ক হতে হবে। প্রয়োজনে ক্যাম্পাসে আরও সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে।”
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments