ব্রিজের সংযোগকারী রাস্তায় ফাটল, আতঙ্কে ভূতনিবাসী
গত শনিবার থেকে ফের বাড়তে শুরু করেছে গঙ্গার জলস্তর। পুরো ভূতনি চরে ঢুকে পড়েছে গঙ্গার জল। ঘর ছেড়ে উঁচু বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছেন বাসিন্দারা। এরই মধ্যে আরও এক সংকট। এই চরের সংযোগকারী ভূতনি ব্রিজের সংযোগকারী রাস্তায় ফাটল দেখা দিয়েছে। তা থেকেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত রাস্তা মেরামতের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
সপ্তাহ দেড়েক আগেই বাঁধ কেটে জল ঢুকতে শুরু করেছিল ভূতনি চরে। উত্তর চণ্ডীপুর, দক্ষিণ চণ্ডীপুর, হিরানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। বন্যা দুর্গত এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছনোর কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। শুরু হয়েছে বাঁধ মেরামতির কাজও। দুদিন আগে গঙ্গার জল নামতে শুরু করায় খানিক স্বস্তিতে ছিলেন দুর্গতরা। তবে গতকাল থেকে ফের বাড়তে শুরু করেছে গঙ্গার জলস্তর। এরই মধ্যে মানিকচক থেকে ভূতনি সংযোগকারী ব্রিজের সংযোগকারী রাস্তায় ফাটল দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ব্রিজের সংযোগকারী ১০০ মিটার এলাকা জুড়ে ফাটল দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা গোপাল মণ্ডল জানান, গঙ্গার জলে চাপ সহ্য করতে না পেরে গত পরশু রাস্তার ধারে ফাটল ধরে৷ এই রাস্তা যদি কোনোভাবে কেটে যায় তবে ভূতনি চরের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাবে। গঙ্গার জল এখনও বাড়ছে৷ পরিস্থিতি খুব একটা ভালো নয়৷ এই রাস্তাটাকে বাঁচাতেই হবে৷ এখনও পর্যন্ত এখানে সরকারিভাবে পর্যাপ্ত নৌকার ব্যবস্থা করা হয়নি৷ চর থেকে মূল ভূখণ্ডে যেতে গরিব মানুষের ১০০ টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে৷ দুর্গত মানুষের কথা চিন্তা করে এখানে নৌকার সংখ্যা বাড়ানোর আবেদন জানাচ্ছি।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
留言