ইয়াবা পাচারের ট্রানজিট পয়েন্ট মালদা, পুলিশের জালে আন্তর্জাতিক পাণ্ডা
বাংলাদেশে পাচারের আগে মালদা শহর থেকে ৬০ লক্ষাধিক টাকার মাদক ইয়াবা ট্যাবলেট বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ৷ গ্রেফতার করা হয়েছে ৬ পাচারকারীকে৷ ধৃতদের মধ্যে রয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক৷ রয়েছে মণিপুরের এক বাসিন্দাও৷ এই ঘটনায় পুলিশ মাদক পাচারের নতুন রুটের সন্ধান পেয়েছে৷ ধৃতদের এদিনই জেলা আদালতে তুলেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ৷
এদিন এক সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, গোপনসূত্রে খবর পেয়ে তাঁরা মালদা শহর থেকে ৬০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট বাজেয়াপ্ত করেছেন৷ উদ্ধার হওয়া মাদক ট্যাবলেটের বাজারদর ৬০ লক্ষ টাকার বেশি৷ এই ঘটনায় ৬ পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ ধৃতদের মধ্যে মোহম্মদ ইসমাইল বাংলাদেশের বাসিন্দা৷ বাকি ৫ জনের মধ্যে একজন, মোহম্মদ নুরুল হকের বাড়ি মণিপুর রাজ্যে৷ সাত্তার আহমেদ ও শেখ বাবলুর বাড়ি কলকাতার একবালপুর থানা এলাকায়৷ বিপ্লব কর্মকারের বাড়ি পুরাতন মালদার মঙ্গলবাড়িতে এবং ফইজুল শেখ কদমতলার বাসিন্দা৷ তাদের হেপাজত থেকে একটি চারচাকার গাড়ি, ৬টি মোবাইল ফোন ও ১৩ হাজার ভারতীয় টাকাও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে৷ এর আগে এই জেলায় ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারের ঘটনা ঘটেনি৷ এবারই প্রথম সেই মাদক ট্যাবলেট উদ্ধার হল৷ ধৃতদের জেরা করে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, এই মাদক ট্যাবলেট মায়ানমার হয়ে মণিপুর, সেখান থেকে কলকাতা, কলকাতা থেকে মালদা হয়ে বাংলাদেশ পাচার করা হত৷ অর্থাৎ মাদক ট্যাবলেট পাচারে পাচারকারীরা নয়া রুট তৈরি করেছে৷ গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে৷ এর সঙ্গে আর কারা জড়িত, তাও জানার চেষ্টা করছেন তাঁরা৷
উল্লেখ্য, জাল টাকার সঙ্গে হেরোইন ও ব্রাউনশুগার পাচারে ইতিমধ্যে কুখ্যাত মালদা জেলা৷ ইয়াবা ট্যাবলেট মূলত দক্ষিণ দিনাজপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাচার করত কারবারীরা৷ সম্প্রতি হিলি সীমান্তে কোটিখানেক টাকার ইয়াবা বাজেয়াপ্ত করে সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএসএফ৷ কিন্তু মালদা দিয়ে ইয়াবা এর আগে পাচারের কোনও তথ্য ছিল না বলেই জানাচ্ছে জেলা পুলিশ৷ জানা গেছে, ধৃত ৬ পাচারকারীর মধ্যে বাংলাদেশি সহ কলকাতার দুজন মালদা শহরের রবীন্দ্র অ্যাভিনিউয়ে নতুন একটি হোটেলে আস্তানা গেড়েছিল৷ মণিপুরের বাসিন্দা ছিল আরেক ঠিকানায়৷ গতকাল রাতে ওই হোটেলে হানা দেন জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তারা৷ বৈধ পাসপোর্ট নিয়েই এদেশে এসেছিল ওই বাংলাদেশি চোরাকারবারী৷ তাকে জেরা করেই সমস্ত তথ্য পায় পুলিশ৷
Comments