top of page

বাঁধে ফাটল ধরেছে, ভোর রাত থেকে ঘর ছেড়ে পালাচ্ছে মানুষ

তলিয়ে গিয়েছে একটি শিবমন্দির

ফুলহর নদী সংলগ্ন মানিকচকের মথুরাপুর শঙ্করটোলা বাঁধে ফাটল ধরেছে। গতকাল বিকেলে তলিয়ে গিয়েছে একটি শিবমন্দির ও একটি বটগাছ। ভাঙনের আতঙ্কে মানুষ ভোর রাত থেকে ঘর ছাড়তে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে মাইকিং করে বাঁধ সংলগ্ন এলাকার মানুষদের ঘর ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। রাত থেকেই সেচ দপ্তরের কর্মীরা বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করেছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় জেলা পরিষদের সভাধিপতি, মানিকচকের বিডিও ও সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা৷


স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ব্রিজ তৈরির সময় পিলারের পাশের মাটি কাটা হয়। তারপর থেকে নদী বাঁধে ফাটল দেখা দেয়। প্রশাসনের কাছে বারবার অভিযোগ জানানো হলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিলে এই ঘটনা ঘটত না। মানুষকে ঘর ছেড়ে যেতে হত না। সম্প্রতি নদীর জল কমতে শুরু করেছে আর তার ফলে বাঁধের অংশ বসে গিয়ে এধরনের বিপত্তি।



বাঁধের কাজ সঠিকভাবে করা হলে এ ধরনের ভাঙনের ঘটনা ঘটত না

ভাঙনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান দক্ষিণ মালদার সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরি (ডালু) ও তৃণমূল নেত্রী তথা প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র। সাবিত্রী মিত্র বলেন, এলাকায় ভাঙনের ফলে মানুষজন আতঙ্কে রয়েছে। ইতিমধ্যে প্রশাসনের কর্তারা কাজ করছেন। সেচ দপ্তরের কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, বাঁধ মেরামতির জন্য যে ভেটিভার গাছ লাগানো হয়েছিল সেই কাজ তিনি দেখতে পাননি। দক্ষিণ মালদার সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরি বলেন, বাঁধের কাজ সঠিকভাবে করা হলে এ ধরনের ভাঙনের ঘটনা ঘটত না। মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। সমস্ত রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারকে জানাব।


যাঁদের বাড়ি তলিয়ে গেছে তাঁদের স্থানীয় স্কুলে পাঠানো হয়েছে

মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল এই ভাঙন প্রসঙ্গে বলেন, দুদিনের লাগাতার বৃষ্টিতে মানিকচকের শঙ্করটোলা এলাকায় ধস নেমেছে। এই এলাকার একটি শিব মন্দির জলে তলিয়ে গেছে তবে ফুলহরের জলস্তর সেভাবে বৃদ্ধি পায়নি। সেচদপ্তরের আধিকারিক, বিডিও, ওসি সকলেই আছেন এলাকায়৷ আরও ক্ষতি যাতে না হয়, সেজন্য দ্রুত কাজ শুরু করা হচ্ছে৷ সেচ দপ্তরের লোকরা জানিয়েছে, জলের গভীরতা প্রচুর রয়েছে৷ ওপরে মাটি না কাটলেও জলের তলায় মাটি কেটে যাওয়ার কারণেই এই ধস নেমেছে৷ বাঁধেও সামান্য ক্ষতি হয়েছে৷ রাতেই বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হবে৷ যাঁদের বাড়ি তলিয়ে গেছে তাঁদের স্থানীয় স্কুলে পাঠানো হয়েছে।

Kommentare


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page