top of page

কনটেনমেন্ট জোনে ঢোকার চেষ্টা, সাংসদের কনভয় আটকাল পুলিশ

হরিশ্চন্দ্রপুরে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরপর সেই ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগে সাংসদের কনভয় আটকায় পুলিশ প্রশাসন। প্রশাসনের আবেদনে সাড়া দিয়ে ফিরে এসেছেন সাংসদ৷ ওই ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন উত্তর মালদার সাংসদ।

উল্লেখ্য, গ্রামে বেড়া দেওয়া নিয়ে গত পরশু রাতে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের চণ্ডীপুর গ্রামের সঙ্গে মানকিবাড়ি গ্রামের একাংশের সংঘর্ষ হয়৷ ওই রাতে গোষ্ঠী সংঘর্ষে চণ্ডীপুরের এক গ্রামীণ চিকিৎসকের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়৷ সেই ঘটনার পর আক্রান্তদের বাড়িতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এলাকার সাংসদ খগেন মুর্মু৷ কিন্তু গ্রামে ঢোকার ২০ কিলোমিটার আগে চাঁচল-হরিশ্চন্দ্রপুর ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের বটতলা এলাকায় তাঁর পথ আটকান বিডিও অনির্বাণ বসু ও হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয়কুমার দাস৷ তাঁরা সাংসদকে জানান, এই মুহূর্তে ওই এলাকা করোনা কনটেনমেন্ট জোনের আওতায়। তাছাড়া যেহেতু গোটা ঘটনাটি সাম্প্রদায়িক, তাই এখন তাঁদের ওই গ্রামে যাওয়া উচিত হবে না৷ বিডিও এবং আইসি’র আবেদনে সাড়া দিয়ে ফিরে আসেন সাংসদ৷




খগেনবাবু বলেন, হরিশ্চন্দ্রপুরের ঘটনায় আমরা আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করতে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের আবেদন জানানো হয়, ওই এলাকা এখন কনটেনমেন্ট জোন৷ এখন সেখানে যাওয়া ঠিক হবে না। প্রশাসনের কাছে আমাদের আবেদন, পরশু রাতের ঘটনায় যারা দোষী, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

বিডিও ও আইসি জানিয়েছেন, আজ সাংসদ ও তাঁদের দলের লোকজন হরিশ্চন্দ্রপুরের চণ্ডীপুর গ্রামে যেতে চেয়েছিলেন৷ এই মুহূর্তে চণ্ডীপুর গ্রামকে কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে৷ এই সময় অত্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরের কাউকে সেখানে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না৷ কিন্তু গোটা বিষয়টি বুঝিয়ে বলার পর তাঁরা ফিরে গিয়েছেন৷


এই ঘটনায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের টুইট আজ রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট সমালোচিত হয়।







টপিকঃ #কনটেনমেন্টজোন #Lockdown

Komentar


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page