বড়ো মাথার নাম পুলিশের হাতে? আইনজীবীর গলায় সম্ভাবনার সুর
বড়ো মাথা। এই দুটি শব্দ নিয়েই গত দু’দিনে মালদা শহর জুড়ে সবচেয়ে বেশি চর্চা হয়েছে। সম্ভবত দুলাল সরকারকে খুনের মূল ষড়যন্ত্রকারীর অভিযোগে ধৃত নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি পুলিশকে সেই নাম জানিয়েছেন। অ্যাসিস্ট্যান্ট পাবলিক প্রসিকিউটরের গলাতেও সেই প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। তবে তিনি এও বলেছেন, অভিযুক্তরা বাঁচার জন্য অন্যদের নাম বলেই থাকেন। এর পেছনে সঠিক কারণ ও তথ্য থাকতে হবে। এদিকে, ধৃত নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি ও স্বপন শর্মার আরও পাঁচ দিনের পুলিশি হেপাজত মঞ্জুর করেছে আদালত।
এদিকে, জেলা পুলিশের তরফে প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, টিঙ্কু ঘোষ, সামি আক্তার, অভিজিৎ ঘোষ ও অন্যান্যদের জেরা করে একটি ৯ মিলিমিটারের পিস্তল, দুটি ওয়ান সাটার, সাতটি তাজা কার্তুজ ও ঘটনার সময় অভিযুক্তদের পরণের কাপড় উদ্ধার হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আইনজীবী দেবজ্যোতি পাল বলেন, তদন্তে নতুন নতুন তথ্য হাতে আসছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে একটি মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। ঘটনার আগে এবং পরের যে কথোপকথন পাওয়া গিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুরো ঘটনা পুলিশ সুপার মনিটরিং করছেন। অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শুধুমাত্র তাঁদের কাছেই রয়েছে। এখনও সমস্ত তথ্য সামনে আসেনি। আমাকে যে টুকু তথ্য দেওয়া হয়েছে, আমি সেটুকুই বলতে পারব। আরও তদন্তের স্বার্থে নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি ও স্বপন শর্মার পাঁচদিনের পুলিশি হেপাজতের আবেদন জানানো হয়েছিল, আদালত তা মঞ্জুর করেছে।
এপিপি আরও জানান, কোনো মানুষকে যখন আটক করা হয়, তখন তারা নিজেকে বাঁচানোর জন্য আরও কিছু নাম বলে দিতে পারে। জিজ্ঞাসাবাদে কিছু নাম এরাও হয়তো বলেছে। তবে শুধুমাত্র নাম বললেই হল না। তার পেছনে সঠিক কারণ, তথ্য থাকতে হবে। সে সব খতিয়ে দেখতেই পুলিশ তাদের নিজেদের হেপাজতে নিয়েছে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Комментарии