নদীতীরে মৃতদেহ কবর দেওয়ার চেষ্টায় এল পুলিশ
চুপিসারে নদীর তীরে মৃতদেহ কবর দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ পরিবারের বিরুদ্ধে। স্থানীয় বাসিন্দারা কবর দিতে বাধা দিলে উত্তেজনা ছড়ায় মালদা শহরের মহানন্দাপল্লী এলাকায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে মৃতদেহটিকে দাহ করার জন্য শ্মশানে পাঠায়।
মৃত নাবালিকার নাম মিলি মণ্ডল (১১)। বাড়ি মালদা শহরের নরসিংহকুপা এলাকায়। মৃতের বাবা সঞ্জিত মণ্ডল পেশায় রাজমিস্ত্রি। মা চম্পারাণী মণ্ডল গৃহবধূ। পরিবারে তাঁদের এক ছেলে তিন মেয়ে। মিলি মণ্ডল ছিল মেজো মেয়ে। গত ১২ এপ্রিল জ্বরে আক্রান্ত অবস্থায় মালদা মেডিকেল কলেজে ভরতি হয়েছিল ওই নাবালিকা। আজ ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ মেডিকেল কলেজে মৃত্যু হয় ওই নাবালিকার। ওই নাবালিকার মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অভিযোগ, এরপরেই চুপিসারে মালদা শহরের মহানন্দাপল্লী এলাকার নদীর ধারে ওই নাবালিকার মৃতদেহ কবর দিতে যান পরিবারের লোকেরা। বিষয়টি জানতে পারেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কেন চুপিসারে মৃতদেহটি কবর দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে তা নিয়ে প্রতিবাদে সোচ্চার হন এলাকার বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
মৃতের জ্যাঠামশাই ছেদন মণ্ডল জানান, ১১ এপ্রিল ভাইজি মিলি মণ্ডল বাড়ির বাইরে খেলা করছিল। এরপর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যায় সে। হাত-পা কাঁপতে থাকে। পরিবারের সকলে ভেবেছিল মিলিকে ভূতে ধরেছে। নানা চেষ্টা করেও অসুখ সারানো যায়নি। উলটে মিলির জ্বর আসে। পরদিন মিলিকে ভরতি করা হয় মালদা মেডিকেল কলেজে। ছয়দিন চিকিৎসার পর আজ সকালে মিলির মৃত্যুর কথা জানান চিকিৎসকরা। কী কারণে মিলির মৃত্যু হল তা বুঝে উঠতে পারছে না পরিবারের কেউ।
মৃত নাবালিকার বাবা সঞ্জিতবাবু বলেন, ছোটো মেয়েকে দাহ না করে মহানন্দা নদীর তীরে কবর দিতে নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু এলাকাবাসীরা কবর দিতে বাধা দিয়েছে। তাই দাহ করার জন্য মৃতদেহ সদুল্লাপুর মহাশ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়।
[ আগের খবরঃ সংসারের চালানোর তাগিদে শ্রমিকরা নেমে পড়েছেন চাষের জমিতে ]
ইংরেজবাজার থানার পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ কবর দেওয়া নিয়ে সাময়িক একটা জটিলতা তৈরি হয়েছিল। পরে পরিবারের লোকেরা দেহ সৎকারের জন্য শ্মশানে নিয়ে যায়।
Comments