অন্তর্দ্বন্দ্ব না মেটালে কড়া পদক্ষেপ হুঁশিয়ারি শুভেন্দু অধিকারীর
অন্তর্দ্বন্দ্ব না মেটালে কড়া পদক্ষেপ নেবে দল, এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন জেলার তৃণমূল পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী। গতকাল বুলবুলচণ্ডী গিরিজাসুন্দরী হাইস্কুলে দলীয় কর্মীসভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকার সহ একাধিক নেতানেত্রীরা।
শুভেন্দুবাবু গলায় বারবার শোনা গিয়েছে বিজেপি প্রসঙ্গ৷ এবারের ত্রিস্তর নির্বাচনে হবিবপুর ও বামনগোলা পঞ্চায়েত সমিতি দখল করেছে বিজেপি৷ তার আগে এই দুই পঞ্চায়েত সমিতি ছিল বামেদের দখলে৷ ফলে এই এলাকায় কখনই নিজেদের কর্তৃত্ব কায়েম করতে পারেনি রাজ্যের শাসকদল৷ তাই এবার এখানে নিজেদের ভোট ব্যাংক তৈরি করতে মরিয়া তৃণমূল৷ তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, কোনও সরকারি সহায়তা, এমনকি হাসপাতালে ভরতির ক্ষেত্রেও তৃণমূল ছাড়া কারোর গতি নেই৷ সরকারি যে কোনও কাজের তদারকি যাতে বিজেপির হাতে না যায় তার দিকে লক্ষ্য রাখতে বলেছেন তিনি৷ এই কাজ দেখাশোনার দায়িত্ব পেয়েছেন মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল৷ শুভেন্দুবাবু এদিন জানান, তাঁদের একজনই নেত্রী৷ তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর নির্দেশ মেনে তাঁরা সবাই চলছেন৷
লোকসভা ভোটের আগে বুথ স্তরে দলীয় সংগঠন বৃদ্ধির উপর বিশেষ নজর দিয়েছেন শুভেন্দুবাবু৷ তিনি বলেন, আগামী ১৯ তারিখ কলকাতায় দলের সমাবেশ উপলক্ষ্যে প্রতিটি গ্রাম দলীয় পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন দিয়ে মুড়ে ফেলতে হবে৷ তবে সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আর যেন কারোর নাম না থাকে, এমন হুঁশিয়ারিও শোনা গেছে তাঁর গলায়।
হবিবপুরের পর এদিন আদিবাসী অধ্যুষিত গাজোলেও একটি কর্মীসভা করেন শুভেন্দুবাবু৷ সেই সভাতেও তাঁর বক্তব্য ছিল একই তারে বাঁধা৷ তবে এদিন আদিবাসী অধ্যুষিত আরেক ব্লক, পুরাতন মালদায় তাঁর সভা করার কথা থাকলেও বিশেষ কোনও কারণে সেই সভা বাতিল করা হয়৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments