জেলাপরিষদে তৃণমূলের ভোট ব্যাংকে কংগ্রেসের দুই
জেলাপরিষদের বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে সেরকম কোনো উত্তেজনা লক্ষ্য করা না গেলেও বোর্ড গঠন শেষে তৃণমূলিদের উল্লাস ছিল চোখে পড়ার মতো। জেলা পরিষদের বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে পুলিশি নিরাপত্তাও ছিল লক্ষ্যণীয়। এদিন মালদা জেলার সভাধিপতি হিসেবে নির্বাচিত হলেন গৌরচন্দ্র মণ্ডল। সহকারী সভাধিপতি হলেন চন্দনা সরকার।
মালদা জেলা পরিষদের ৩৮টি আসনের মধ্যে গাজোলের একটি আসনে নির্বাচন স্থগিত থাকায় ৩৭টি আসনকে কেন্দ্র করে বোর্ড গঠনের সভা শুরু হয়। ৩৭টি আসনের মধ্যে তৃণমূলের দখলে ছিল ২৯টি, বিজেপির ৬টি এবং কংগ্রেসের দখলে ছিল ২টি। তৃণমূলের পক্ষে গৌরচন্দ্র মণ্ডল ও চন্দনা সরকার সভাধিপতি ও সহকারী সভাপতির প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বিজেপির পক্ষে সভাধিপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন উজ্জ্বল চৌধুরি৷ সহকারী সভাধিপতি পদে প্রার্থী ছিলেন সাগরিকা সরকার৷ তৃণমূলের দুই প্রার্থী ৩১-৬ ভোটে জয়লাভ করেন৷ কংগ্রেসের দুই সদস্য তৃণমূলের প্রার্থীদের দিকেই তাঁদের সমর্থন জানান।
এদিন কংগ্রেসের দুই সদস্য জেলা কংগ্রেস সভানেত্রী মৌসম নূরের নির্দেশে তাঁদেরই ভোট দিয়েছেন৷ জানা গিয়েছে এনিয়ে মৌসমের সঙ্গে তৃণমূলের মালদা জেলা অবজারভার শুভেন্দু অধিকারীর আগেই কথা হয়েছে৷ যদিও অস্থায়ী সভাপতি দুলাল সরকার, কংগ্রেসের এই সমর্থন প্রসঙ্গে বলেন, বিজেপিকে রুখতে কংগ্রেস যে তাঁদের সমর্থন করবে, তা তারা বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিল৷ জেলা পরিষদে কংগ্রেসের মাত্র দুই সদস্য৷ তাতে দলের যে কোনও লাভ হবে না তা তাঁরা ভালোই বুঝতে পেরেছিলেন৷ সেকারণেই সম্ভবত তাঁরা তৃণমূল প্রার্থীদের ভোট দিয়েছেন৷ তবে জেলা পরিষদের বোর্ড গঠনে তৃণমূলের সমর্থনে কংগ্রেসের এগিয়ে যাওয়াকে ঘিরে উঠেছে অনেক রাজনৈতিক জল্পনা। যদিও সমস্ত জল্পনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন জেলা তৃণমূলের অস্থায়ী সভাপতি দুলাল সরকার।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
ভিডিয়োঃ কৃতাঙ্ক
Comments