একই দিনে জোড়া বোর্ড গঠন জোড়া ফুলের
একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে পুরাতন মালদার মহিষবাথানি এবং যাত্রাডাঙা পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করল তৃণমূল। এদিনের বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশবাহিনী। যাত্রাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত বোর্ড প্রধান পদে নির্বাচিত হন সদ্য কংগ্রেস থেকে আগত তৃণমূল কংগ্রেস সদস্য নুর হক এবং উপপ্রধান পদে নির্বাচিত হন প্রাক্তন প্রধান শতাব্দী সরকার। মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হন রোজিনা বিবি এবং উপপ্রধান হন রেজাউল হক।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৮টি আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ১২ টি আসন পেয়ে এককভাবে পঞ্চায়েত দখল করে। এদিন বোর্ড গঠনের সময় দেখা যায় ১২ জন জয়ী তৃণমূল সদস্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১১ জন। অনুপস্থিত ওই সদস্যের প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব জানায় অসুস্থতার কারণে উপস্থিত হতে পারেনি ওই জয়ী সদস্য।
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তপ্ত হয়ে পড়েছিল তৃণমূলের স্থানীয় শিবির। অনুপস্থিত সদস্য নিজেকে প্রধান পদের দাবিদার মনে করেছিলেন। তাঁর দাবি গৃহীত না হওয়ায় অভিমানে তিনি বোর্ড গঠন মিটিংয়ে আসেননি। শেষ পর্যন্ত মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হন রোজিনা বিবি এবং উপপ্রধান হন রেজাউল হক।
অন্যদিকে নাটকীয়ভাবে যাত্রাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করল তৃণমূল। উল্লেখ্য, এই গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ১৫টি আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেস উভয়েই পেয়েছিল ৬টি করে আসন। এছাড়া বিজেপি ২টি এবং নির্দল ১টি আসন পেয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনের পর এই দুই মাসের ব্যবধানে ছয় কংগ্রেস সদস্য এবং এক নির্দল সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। এদিন এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে তৃণমূল কংগ্রেস যাত্রাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করে। যাত্রাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত বোর্ড প্রধান পদে নির্বাচিত হন নুর হক এবং উপপ্রধান হন প্রাক্তন প্রধান শতাব্দী সরকার।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
ছবিটি প্রতীকী।
Comments