গাজোলের জনসভায় মমতাকে একহাত নিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি
দিদি ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৪২টি আসনই পাবেন বলে দাবি করলেও যে আসনগুলি তাঁদের রয়েছে, সেগুলি ধরে রাখতে পারবেন কিনা সন্দেহ আছে কারণ লোকসভা ভোটে নিরাপত্তার জন্য তো কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি। গাজোলে এক প্রকাশ্য জনসভায় এই মন্তব্য করে নিজের ভাষণে তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। একই সঙ্গে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে সংখ্যালঘু ভোট নিজেদের ঘরে তুলতেও দলের কৌশলের সুর শোনা গিয়েছে দিলীপবাবুর গলায়।
দিলীপবাবু বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠু হলে অন্তত ২০ হাজার আসনে জয়ী হতেন তাঁরা। বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির ফল ভাল না হলেও এই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক নেতা-মন্ত্রীই তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে দাবি করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, একটা সময় আসবে, যখন শুধুমাত্র পিসি আর ভাইপো ছাড়া ওই দলে অন্য কেউ থাকবে না। তৃণমূল কংগ্রেসের শহীদ দিবস বর্তমানে দিদির বাৎসরিক তামাশায় পরিণত হয়েছে। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই দিনে যোগদান করত। কিন্তু এখন সমাবেশে লোক নিয়ে আসার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-মন্ত্রীরা জেলায় জেলায় সভা করে বেড়াচ্ছেন যে সভায় এখন আর শহিদদের কথা স্মরণ না করে শুধুমাত্র বিজেপিকে আক্রমণ করা হয়। আসলে বিজেপির শক্তিবৃদ্ধি হচ্ছে আর সে কারণে ওরা এখন ভয় পেয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি হুঁশিয়ারি দেন, ২০১৯ সালে দিদির পুলিশ ভাই কিংবা পার্টি ভাইরা ভোট করাতে পারবে না। মে মাসের গরমে দিদির পুলিশ থানা থেকে বের না হলেই ভালো। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিদির পুলিশকে বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে ঢুকতেই দেবে না। আর দিদির পার্টি ভাইরা বুথের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করলে লাঠির দাগ নিয়ে তাদের ঘরে ফিরে যেতে হবে।
তিনি আরো বলেন, মুসলিমদের জন্য আলাদা স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল প্রভৃতি গড়ে তাঁদের কেবল ভোট ব্যাঙ্ক হিসাবে ব্যবহার করছে তৃণমূল কংগ্রেস। যে এই সব কিছু সবার জন্যই তো গড়া যেতে পারে। মুসলিমদের শুধুমাত্র ভোটার করে রাখাই তৃণমূল কংগ্রেস উদ্দেশ্য। মুসলমান সমাজের লোকজনকে সব দিক থেকে পিছিয়ে রাখা হচ্ছে। বিজেপিই পারে সবাইকে সমানাধিকার দিতে। দিলীপবাবুর বক্তব্য অনুযায়ী গুজরাটের ৭শতাংশ মুসলিম সরকারি চাকুরীজীবী হলেও এই রাজ্যে মাত্র ১ শতাংশ মুসলিম সরকারি চাকুরী করেন। একমাত্র বিজেপিই মনে করে, এই দেশে একজন হিন্দুর সমান একজন মুসলমানেরও অধিকার রয়েছে। কন্যাশ্রী প্রকল্পের কথা নিয়েও তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন দিলীপবাবু। তিনি বলেন, এই প্রকল্পে মেয়েদের লেখাপড়া করার জন্য ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হলেও সেই মেয়ে কলেজে ভর্তি হতে গেলে এই ২৫ হাজার টাকার সঙ্গে আরও ১৫ হাজার টাকা দিতে হয়। আর এভাবেই কন্যাশ্রী প্রকল্পের নামে নিজেদের ঘর ভরাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comentarios