পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে টি-২০ ফর্মাটেইঃ মদন মিত্র
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা আর উন্নয়ন দেখে বিরোধীরা ভোট থেকে দূরে থাকতে চায়৷ বিরোধীরা ভোটে গেলে হারবে, তাই তারা মিডিয়াতে যাবে, কোর্টে যাবে, কিন্তু ভোটে যাবে না৷ বৃহস্পতিবার মালদায় ভোট প্রচারে এসে বিরোধীদের এভাবেই কটাক্ষ করলেন এই জেলার তৃণমূল পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী৷ এদিন শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে মালদায় ভোট প্রচারে আসেন তৃণমূল নেতা মদন মিত্রও ৷
কালিয়াচকের সুজাপুরে কারবালা ময়দানে ভোট প্রচারে অংশ নিতে এদিন মালদায় আসেন শুভেন্দু অধিকারী ও মদন মিত্র৷ সম্প্রতি গলব্লাডার স্টোনের অস্ত্রোপচার হয়েছে নীহারবাবুর৷ গতকালই তিনি হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন৷ নীহারবাবুকে এদিন শুভেচ্ছা জানান তৃণমূলের দুই শীর্ষ নেতা৷ সুজাপুর যাওয়ার আগে তাঁরা ইংরেজবাজারের বিধায়ক তথা পুরপ্রধান নীহাররঞ্জন ঘোষকে দেখতে যান৷ তাঁদের সঙ্গে ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকার সহ শাসকদলের অনেক জেলা নেতা৷
শুভেন্দুবাবু জানান, সম্প্রতি কলকাতায় নীহারবাবুর অস্ত্রোপচার হয়েছে৷ সেকারণেই এদিন তাঁরা নীহারবাবুকে দেখতে এসেছেন৷ দলের একজন কর্মী হিসাবে তিনি চান, নীহারবাবু দ্রুত ভোট প্রচারের ময়দানে নেমে পড়ুন৷ কারণ, এবার মালদা জেলা পরিষদ দিদিকে দিতেই হবে৷ সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে পঞ্চায়েত ভোট কি আদৌ হবে? এপ্রসঙ্গে শুভেন্দুবাবু বলেন, ভোট নিশ্চয়ই হবে৷ তবে এদেশে আদালত ও আইনের একটি বড়ো জায়গা রয়েছে৷ আদালতের নির্দেশ যা হবে তা মেনেই ভোট হবে৷ গতকাল বিজেপি নেতা মুকুল রায় মালদায় এসে মন্তব্য করেছিলেন, রাজ্যের হাতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা কর্মী নেই৷ এই অবস্থায় ভোট হবে কীভাবে? মুকুলবাবুর সেই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, বিরোধীদের সবার মুখ থেকে একই কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে৷ ২০১৩ সালে এই নেতা তাঁদের সঙ্গে ছিলেন৷ এখন তিনি বিজেপিতে৷ দল বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে ভাষারও পরিবর্তন হয়েছে তাঁর৷ সেই সময় তাঁরা দেখেছিলেন, তৎকালীন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডেকে ভুল বুঝিয়ে জুলাই মাসে পঞ্চায়েত নির্বাচন করানো হয়েছিল৷ এরাজ্যের বিরোধীরা সবসময়ই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গগনচুম্বী জনপ্রিয়তা আর উন্নয়নমূলক কাজকর্ম দেখে ভোট থেকে সরে থাকতে চায়৷ বিভিন্ন সময় তারা বিভিন্ন বাহানা তোলে৷ তাদের বক্তব্য, ভোটে গেলে হারব৷ তাই মিডিয়াতে যাব, কোর্টে যাব, কিন্তু ভোটে যাব না৷
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মদনবাবু জানান, সাধারণ মানুষ বদলা নেয় না। যোগ্য জবাব দেয়, সাধারণ মানুষ যোগ্য জবাব দিতে তৈরি। বিরোধীরা কোর্টে যাচ্ছে যাক, তৃণমূল কোর্টের আদেশ মানতে তৈরি। কিন্তু তার আগে জনতার আদালত সবটাই বলে দিচ্ছে। এক দিন, দুই দিন, দশ দিন নিয়ে চিন্তা নেই, তৃণমূল ম্যাচের জন্য প্রস্তুত এবং সেটা টি-২০ ফর্মাটেই হবে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
ভিডিয়োঃ কৃতাঙ্ক
Comments