top of page

তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে পোস্টার, নির্বাচনের আগে অস্বস্তিতে জেলা নেতৃত্ব

আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বন্যা ত্রাণ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে পড়ল পোস্টার। কিছু কিছু পোস্টারে লেখা রয়েছে "সুজাতা সাহা হটাও তৃণমূল বাঁচাও"। স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষের অনুমান দলের একাংশ নেত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে এই পোস্টার দিয়েছে। যদিও পুরো ঘটনাকে বিরোধীদের চক্রান্ত বলে মনে করছেন ওই তৃণমূল নেত্রী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর জুড়ে।


বন্যা-ত্রাণ দুর্নীতিতে অন্যতম অভিযুক্ত হরিশ্চন্দ্রপুর-১ (বি) ব্লক মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী তথা হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সুজাতা সাহা। তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছে তুলসিহাটা গ্রামপঞ্চায়েতের বড়োল এলাকায়। আজ সকালে বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয় বাসিন্দাদের। নিমেষে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় ভয়াবহ বন্যা হয়। বন্যা দুর্গতদের জন্য সরকারের তরফে আর্থিক সাহায্য করা হয়। সেই বন্যা ত্রাণের টাকা নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠে শাসকদলের একাধিক নেতা নেত্রীর বিরুদ্ধে। হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতিতে ৩ কোটি ৫৪ লক্ষ এবং বরুই গ্রামপঞ্চায়েতে ৭৬ লক্ষ টাকা দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসে। এই কাণ্ডে গ্রেফতার হন শাসকদল পরিচালিত বরুই গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান সোনামণি সাহা সহ তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতা-নেত্রী। কিন্তু এলাকাবাসী এবং বিরোধীদের অভিযোগ, এই দুর্নীতিতে মাস্টারমাইন্ড সুজাতা সাহা। তাঁর গ্রেফতারির দাবিও তোলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দলের একাংশ তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে পোস্টার লাগিয়েছে বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা।



সুজাতা সাহা বলেন,

এটা পুরোপুরি চক্রান্ত। বিরোধীরা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য লোক দিয়ে এসব করাচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কেউ জড়িত নেই।

মালদা জেলাপরিষদের সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন বলেন, বিষয়টি শুনেছি। বন্যা ত্রাণ দুর্নীতি নিয়ে প্রশাসন দেখছে। সুজাতা সাহা আমাদের দলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। স্বভাবতই এটা বিরোধীদের চক্রান্ত হতে পারে। তবে আমরা বিষয়টিও খোঁজ নিচ্ছি। যদি এই অভিযোগের সত্যতা থাকে তবে দল এনিয়ে ভাবনা চিন্তা করবে।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Comments


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page