বিচারের অপেক্ষায় পূর্ণগর্ভা নাবালিকা
আরজিকর ঘটনার ন্যায়বিচারের দাবিতে রাজ্য জুড়ে আন্দোলন চলছে। বিচারের দাবিতে রাতের পর রাত রাস্তায় নামছে সাত থেকে সত্তর। এদিকে বিচারের দাবিতেই মালদা মেডিকেল কলেজে দিন কাটছে এক পূর্ণগর্ভা নাবালিকার।
১৫ বছরের ওই নাবালিকার বাড়ি কালিয়াচক-২ ব্লকে। সে স্থানীয় একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পাঠরত। পরিবারের অভিযোগ, তিন মাস আগে পুলিশে ঘটনার লিখিত অভিযোগ করা হলেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি৷ প্রসব যন্ত্রণা শুরু হওয়ায় স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ওই নাবালিকা তার স্বামীর নাম-পরিচয় জানাতে না পারায় চিকিৎসকরা তাকে ভরতি না নিয়ে ফিরিয়ে দেন৷ অবশেষে পুলিশ ওই নাবালিকাকে মালদা মেডিকেল কলেজে ভরতি করে।
ওই নাবালিকা জানায়, ছেলেটাকে (২৬) ভালো লাগত। প্রেম হতে বেশি সময় লাগেনি৷ একদিন ও আমার শরীরে হাত দেয়৷ আমার ইচ্ছে না থাকলেও আমার সঙ্গে সহবাস করে৷ সেকথা কাউকে বললে বিয়ে না করার কথাও বলে। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সেকথা কাউকে জানাইনি৷ সেই সুযোগ নিয়ে ও একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়৷ আমি গর্ভবতী হয়ে পড়লে ও আমাকে এড়িয়ে যেতে শুরু করে৷ মা শারীরিক পরিবর্তন ধরে ফেললে পুরো বিষয় জানাই। বিষয়টি জানাজানি হতেই গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায় ও।
নাবালিকার মায়ের অভিযোগ, এটা ধর্ষণ ছাড়া কিছু নয়৷ গত ২৬ জুন স্থানীয় মোথাবাড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি৷ কিন্তু পুলিশ একবারের জন্য গ্রামেও তদন্ত করতে আসেনি৷ মেয়ে এখন ৯ মাসের গর্ভবতী৷ অভিযুক্ত যুবকের কঠোর শাস্তি দাবি করছি৷
মোথাবাড়ি থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় পুলিশ নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। তবে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত যুবক পলাতক। অভিযুক্তের খোঁজে পুলিশি তল্লাশি জারি রয়েছে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Commentaires