সমিতির সম্পাদকের বিরুদ্ধে দুই কোটি ১৪ লক্ষ টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ
মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার পিপলাপল্লি সমিতির সম্পাদকের বিরুদ্ধে দুই কোটি ১৪ লক্ষ টাকার আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ তুলল ওই সমিতির সভাপতি বীরেন্দ্রনাথ দাস। সমস্ত ঘটনা জানিয়ে পিপলাপল্লি সমিতির সভাপতি পুলিশসুপার সহ মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের দ্বারস্থ হয়েছেন। এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সম্পূর্ণ অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন সমিতির সম্পাদক গৌতম আচার্য। ঘটনার অভিযোগ তদন্ত করছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা পুলিশ।
সমিতির সভাপতি বীরেন্দ্রনাথ দাস জানান, সমিতির পরিচালন কমিটিকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে নকল রেজুলেশন করে সমিতির সম্পাদক গৌতম আচার্য, সমিতির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ধাপে ধাপে দুই কোটি ১৪ লক্ষ টাকা তুলে নিয়েছেন। ভুয়ো রেজুলেশনের মাধ্যমে অন্য একজন লোককে সভাপতি এবং কোষাধ্যক্ষ সাজিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। করোনা আবহে মাস্ক তৈরির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার থেকে সমিতিতে এই টাকা পাঠানো হয়েছিল। বিষয়টি জানতে পেরেই এই ঘটনার অভিযোগ নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি। তার সঙ্গে সঙ্গে সমিতির অ্যাকাউন্টটা বন্ধ করা হয়েছে যাতে কোনো লেনদেন না করা হয়। আমরা চাই উনি যা টাকা লেনদেন করেছেন তার সম্পূর্ণ হিসাব দিক।
এপ্রসঙ্গে সমিতির সম্পাদক গৌতম আচার্য জানান, সভাপতি যে অভিযোগ তুলেছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। লকডাউনের আগে সমিতি থেকে অনেক কাজ করেছিলাম এলাকায়। বহু টাকা আটকে ছিল। তারপর সমিতির অ্যাকাউন্টে টাকা আসায়, ব্যাংক থেকে জানানো হয় জয়েন্টলি অপারেট করতে হবে অ্যাকাউন্ট। তাই নতুন করে কমিটি গঠন করে সমস্ত ঠিকাদারদের টাকা প্রদান করা হয়েছে। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এলাকার কিছু স্বার্থান্বেষী লোক আমাকে ফাঁসানোর জন্য এই অভিযোগ তুলেছেন।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানান, সমিতি থেকে এব্যাপারে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে আমরা সেই অভিযোগ তদন্ত করে দেখছি।
Comentários