মেলায় জুয়া খেলা নিয়ে মারধর
ঈদের মেলায় জুয়ার বোর্ড বসানোর প্রতিবাদ করে নিজেদের আত্মীয়দের হাতেই আক্রান্ত হলেন এক পরিবারের চারজন সদস্য৷ আহতদের মধ্যে রয়েছেন এক বৃদ্ধাও৷ আজ সকালে ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার নয়াগ্রামে৷ আহতদের মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের না হলেও তার প্রস্তুতি নিচ্ছে আহতদের পরিবারের লোকজন৷
ঈদ উপলক্ষ্যে নয়াগ্রামে বসেছে মেলা৷ বিনোদনের নানা উপকরণের সঙ্গে গ্রাম্য এই মেলায় বসেছে জুয়ার বোর্ডও৷ অভিযোগ, সেখানে বোর্ড বসিয়েছে গ্রামেরই বাসিন্দা রাজু শেখ ও তার দলবল৷ বোর্ড থেকে রোজগারও বেশ ভালোই হচ্ছে৷ কিন্তু নষ্ট হচ্ছে গ্রামের পরিবেশ৷ তাই জুয়ার বোর্ড তুলে নেওয়ার জন্য রাজুর কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন তাঁরই আত্মীয় মতিউর শেখ৷ কিন্তু তাতে হিতে বিপরীত হয়৷ রাজু ও তার দলবল মতিউরকে মারধর করে৷ এরপরেই মতিউর গোটা ঘটনাটি কালিয়াচক থানায় জানান৷ কিন্তু পুলিশ নাকি তাঁর কথায় কোনও গুরুত্ব দেয়নি৷ পুলিশের প্রশ্রয়ে রাজুদের ব্যাবসা রমরমিয়ে চলতে থাকে৷
মালদা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন মতিউরের ভাই রাহুল শেখ জানান, পুলিশ কোনও পদক্ষেপ না নিলেও তাঁরা মেলায় জুয়ার বোর্ড বসানোর প্রতিবাদ করেই যাচ্ছিলেন৷ তার ফল ভুগতে হয়েছে এদিন সকালে৷ হাঁসুয়া, রামদা’র মতো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এদিন সকালে তাঁদের বাড়িতে চড়াও হয় রাজু ও তার লোকজন৷ তারা মতিউর সহ তাঁদের ভাইপো মাসিদুরকে বেদম মারধর করে৷ বাধা দিতে গেলে তাঁর উপরেও হামলা চালায় তারা৷ হামলার হাত থেকে রক্ষা পাননি তাঁর ৬৬ বছরের বৃদ্ধা মা নাহার বেওয়াও৷ শেষ পর্যন্ত গ্রামবাসীদের হস্তক্ষেপে তাঁরা প্রাণে বাঁচেন৷ গ্রামবাসীরাই তাঁদের ৪ জনকে মালদা মেডিকেলে কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসেন৷ চিকিৎসার জন্য তাঁরা এখনও এনিয়ে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে পারেননি৷ তবে রাজু ও তার দলবলের বিরুদ্ধে তাঁরা নিশ্চিতভাবেই কালিয়াচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন৷
প্রশ্ন উঠেছে, মেলায় জুয়াখেলার ঘটনা মতিউর কালিয়াচক থানায় জানানোর পরেও পুলিশ কেন কোনও ব্যবস্থা নিল না? প্রশ্নের উত্তর পেতে কালিয়াচক থানার আইসি সুমন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments