বালুচর কল্যাণ সমিতিতে এইবার রানি রাসমণির গৃহবাস
রানি রাসমণি রোড ও সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি রোডের সংযোগস্থলে অবস্থিত জানবাজারের বাড়িটি ছিল রানি রাসমণির বাসভবন। এগারো বছর বয়সে জানবাজারের জমিদার রাজচন্দ্র দাসের সাথে তাঁর বিবাহ সম্পন্ন হয়। এবার জানবাজারের এই বাড়িটিকেই দুর্গাপুজোর থিম হিসেবে বেছে নিয়েছে বালুচর কল্যাণ সমিতি।
রানি রাসমণি ছিলেন ঊনবিংশ শতাব্দীর নারী জাগরণের অন্যতম একজন পথিকৃৎ। তিনি দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ির প্রতিষ্ঠাতা। নানা জনহিতকর কাজের জন্য বিখ্যাত ছিলেন তিনি। তিনি তাঁর বাড়িতে দুর্গাপুজো উদযাপন করতেন সমস্ত প্রথা ও রীতি মেনে। সারারাত ধরে চলত যাত্রা। রানি রাসমণির বাড়ির দুর্গামন্দিরটিও ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে কল্যাণ সমিতির এই থিমের আদলে। মূলত এবারের মণ্ডপ হবে পৌরাণিক। জানবাজারের বাড়ি ও বাড়ির দুর্গামন্দিরটি তুলে ধরা হবে মণ্ডপসজ্জায়। থিমের সাথে সামঞ্জস্য রেখেই তৈরি হবে প্রতিমা। প্রতিমা শিল্পী কড়ি দাশগুপ্তের শৈল্পিক ছোঁয়ায় এবারের ক্লাবের প্রতিমা হবে সাবেকি, থাকছে বুলেনের কাজ। মূলত ৩০০ বছর আগে রাজবাড়িতে যে ধরনের প্রতিমা হত, সেইরূপ প্রতিমা দেখতে পাওয়া যাবে বালুচর কল্যাণ সমিতি ক্লাব প্রাঙ্গণে। আর মণ্ডপের সাথে থাকছে নবদ্বীপের নজরকাড়া আলোকসজ্জা। এই বছর এই ক্লাবের পুজো বাজেট আনুমানিক ৩২ লক্ষ টাকা।
৫৬ বছরে পা দিল এই ক্লাবের পুজো। প্রতি বছর নতুনত্ব থিম দর্শকদের উপহার দিয়ে থাকে এই ক্লাব। শহরের বিগ বাজেটের পুজোগুলির মধ্যে বালুচর কল্যাণ সমিতি একটি। এই বছর চতুর্থীতে হবে পুজোর শুভ উদ্বোধন। পুজোর উদ্বোধনে উপস্থিত থাকছেন রানি রাসমণির পরিবারের সদস্যরা।
দুর্গাপুজোকে ঘিরে ক্লাব প্রাঙ্গণে বসে মেলা। অনেক খেটে খাওয়া মানুষের পেটে ভাত ও মনে আনন্দ জোগায় এই ক্লাব। করোনা আবহে ছবিটি একটু অন্যরকম থাকলেও এবছর পরিস্থিতি বদলাবে, এমনটাই আশা রাখছে খেটে খাওয়া মানুষেরা। এবছরের ক্লাবের পুজো কমিটির সেক্রেটারি অমিতাভ শেঠ জানিয়েছেন, প্রতি বছর তারা দর্শকদের নতুন কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেন তারা। এবারও দর্শকরা নতুন কিছু উপহার পেতে চলেছে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments