ইউনেস্কোর সম্মাননা এইবার দিলীপ স্মৃতি সংঘের থিমে
মা আসছেন! হাতে গোনা কয়েকদিনের অপেক্ষা মাত্র। তারপরই বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব। এবছর বাঙালির এই উৎসবের মুকুটে জুড়েছে নয়া পালক, গতবছর ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা পেয়েছে বাঙালির দুর্গাপুজো। ইউনেস্কোর ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে দুর্গাপুজোকে। ফ্রান্স, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, ব্রাজিল, বলিভিয়ার মতো বিশ্বের মাত্র ছয় দেশের উৎসব এখনও পর্যন্ত ইউনেস্কোর-র স্বীকৃতি পেয়েছে।
প্রতিটি বাঙালির কাছে দুর্গাপুজো হল এক ‘আবেগ'। ধর্ম এবং শিল্প, এই দুইয়ের মেলবন্ধনের জন্যেই সংস্কৃতিতে হেরিটেজ তকমা। আর এবার সেই মুকুটে আরও এক চমক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে মিলল সাড়া। এবারের বাংলার দুর্গাপুজোর আনন্দের জোয়ারে গা ভাসাবে ইউনেস্কোও, যোগ দিয়েছে পয়লা সেপ্টেম্বরের পুজো সূচনার শোভাযাত্রায়।
বাঙালির কাছে এটি গর্বের বিষয়। বাঙ্গালির এই সম্মানকে উদযাপন করতে মালদার দিলীপ স্মৃতি সংঘের এবছরের থিম বাংলার গর্ব এবার বিশ্বের দরবারে।
বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। পুজো যেমন সম্প্রীতির মেলবন্ধন ঘটায়, সেইরকম হাজারো মানুষের অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধি ঘটায়। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর মানুষ অংশগ্রহণ করে এই উৎসবে। এই সম্পূর্ণ বিষয়কে তুলে ধরা হবে থিমের মাধ্যমে। এই থিমের মূল দায়িত্বে রয়েছেন কৃষ্ণকুমার দাস। তিনি জানিয়েছেন সমস্ত বিষয়কে মডেলের দ্বারা ফুটিয়ে তোলা হবে। এই ক্লাবের প্রতিমাতেও থাকছে নতুন চমক। এই ক্লাবের প্রতিমা থাকছে ক্যালেন্ডারে। এই সমস্ত বিষয়কে রূপদান করছেন রাজকুমার পণ্ডিত। সাথে থিমের সাথে সামঞ্জস্য রেখে থাকছে আলোকসজ্জা।
এবছর ৭২ বছরে পা দিল এই ক্লাবের পুজো। ছোটো বাজেটের পুজো হওয়া সত্ত্বেও বরাবরই বড়ো ক্লাবকে টেক্কা দিয়ে থাকে দিলীপ স্মৃতি সংঘ। এবছর এই ক্লাবের পুজোর বাজেট আনুমানিক সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা। পুজো কমিটির সেক্রেটারি সর্বজিত রায় জানিয়েছেন, ইউনেস্কোর এই সম্মান পুরো বাংলার সম্মান, বাঙালির সাথে এই সম্মানকে ভাগ করে নিতেই এই থিম বেছে নেওয়া।
[ আরও খবরঃ শান্তিভারতীর পুজোয় বারো মাসে তেরো পার্বণ ]
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments