top of page

গোঠের রাখাল বলে দেরে কোথায় বৃন্দাবন

মালদার অনীক সংঘের দুর্গাপুজো মানেই ভাবনার উৎকর্ষের প্রসার ও অভিনবত্বের ছোঁয়া। এবছর ৬৭ তম বছরে পা দিতে চলেছে এক নম্বর গভমেন্ট কলোনির বনেদি পুজোটি। জেলার জনপ্রিয় পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম এই ক্লাব গত বছর আমেরিকার স্বামী নারায়ণ মন্দিরকে তুলে ধরে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলও সবার। বরাবর অভিনবত্বের ছোঁয়ায় এঁরা কম সময়েই যে দর্শকের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছে তাতে সন্দেহ নেই। পুজোর চারটে দিন প্রতি বছরই দেখা যায় এই পুজো প্রাঙ্গণে জমাটি আড্ডা, স্কুল পড়ুয়াদের চুটিয়ে মজা করা। আজ আমাদের মালদা ‘পুজো এল রে’ টিম ঘুরে দেখলেন অনীক সংঘের মণ্ডপ, কথাও বললেন উদ্যোক্তাদের সাথে।



গহন কুসুম কুঞ্জ মাঝে, মৃদুল মধুর বংশি বাজে।

অনীক সংঘের এবারের পুজোর থিম ‘স্বপ্নের রাখাল’। এখানে রাখাল রাজা হলেন সর্বশক্তিমান শ্রীকৃষ্ণ। রাখাল বালক রূপে তিনি দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন করতে শক্তিরূপিনী মা দুর্গাকে আহ্বান করেন। মহাদেবের সঙ্গে দশভুজা দেবী দুর্গা এসেছিলেন তাকে আরাধনা করার জন্য। বাৎসল্য প্রেমে দেবী দুর্গা শ্রীকৃষ্ণকে ক্ষীর, সর, নবনী দ্বারা তুষ্ট করেছিলেন। বালক কৃষ্ণকে সেদিন পুত্ররূপে প্রাপ্তির ইচ্ছাও জেগেছিল দেবী মনে। তবে সেই অভিলাস পূর্ণ হয়েছিল কলিযুগে।


তিনি এখানে হিংসা-বৈষম্যের মাঝে পুজো মণ্ডপে প্রেমের বার্তা দেবেন। সকল সমস্যার তিনিই হবেন সমাধান। উদ্যোক্তারা বললেন, আমরা সকলেই জানি কৃষ্ণ নামের মধ্যেই বিরাজ করে শান্তি। তাঁর কৃষ্ণলীলা আগেই দেখেছে বৃন্দাবনবাসী। এবার সেই কৃষ্ণলীলা দেখবে মালদা। ক্লাবের মাঠে গড়ে উঠেছে সুবিশাল প্যান্ডেল। দূর থেকে দেখে মনে হবে আস্ত বরফের মাঝে স্বয়ং কৃষ্ণ আবির্ভূত হয়েছেন মুরুলি হাতে। সঙ্গে থাকবে তাঁর বাহনও। অন্দরমহলে থাকবে কৃষ্ণের লীলাখেলা আর সাথে মৃৎশিল্পী সজল পণ্ডিতের হাতের গড়া ওরিয়েন্টাল ধাঁচে দেবী প্রতিমা। ক্লাব উদ্যোক্তাদের কথায়, ‘মণ্ডপে এসে মানুষের বোধ হবে যে, তাঁরা অপার শান্তির জগতে এসে পৌঁছেছেন, যেখানের পরিবেশ ভালোবাসায় পরিপূর্ণ। তাই তাঁরা আশাবাদী, এই বছর অনীক সংঘ সকল দর্শনার্থীর মনে বিশেষ জায়গা করবে।

Comments


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page