মহানন্দা নদীর তীরে বালু ভাস্কর্য উৎসব
নিম্নচাপের জেরে শুরু হওয়া বৃষ্টির বেগ কমলেও, শরতের গগনে কালো মেঘের হানা প্রায়শই প্রস্তুতিতে বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে এখানে। এই কঠিন আবহাওয়ার সাথে পাল্লা দিয়ে ইংরেজবাজারে মহানন্দা নদীর বাঁধের উপর অবস্থিত মহানন্দা ক্লাবের পুজোর প্রস্তুতি এবছর তুঙ্গে। এবারে এই পুজো ৪৭ বছরে পা দিচ্ছে। বালু দিয়ে নানান ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছে এই দুর্গোৎসবে। খানিকটা আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পী সুদর্শন পট্টনায়কের তৈরি পুরীর সমুদ্রতটের বালু ভাস্কর্যের ধাঁচে।
এবার বাঁধরোডের মহানন্দা ক্লাবের পুজোর অন্যতম আকর্ষণ বালু ভাস্কর্যের বিশালাকৃতির দেবী প্রতিমা। এই প্রতিমাটি তৈরি করেছেন মৃৎশিল্পী সুশান্ত সরকার। দুর্গোৎসবের মধ্যে দিয়ে বালু দিয়ে তাঁদের সৃজনশীলতা দেখানোর সুযোগ পেয়েছেন এখানকার সমস্ত শিল্পীরা। আমাদের ‘পুজো এলো রে’ টিমকে ক্লাব কমিটির সম্পাদক মদন ঝাঁ জানালেন, এবছরের পুজোর বাজেট আনুমানিক নয় লক্ষ টাকা। বিশেষ যত্নবান হয়ে নিখুঁতভাবে তৈরি করা হয়েছে বালু ভাস্কর্যগুলো। বালু দিয়ে বিরাট আকারের একটি শিবের মূর্তিও তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও মণ্ডপে থাকছে বালু ভাস্কর্য মণ্ডিত নানা কারুকার্য। চিত্রশিল্পীদের হাতের আঁকায় সুবিশাল ক্যানভাসে ফুটে উঠবে পুরীর সমুদ্রতট। মণ্ডপসজ্জায় এই থিমের ভাবনায় রয়েছেন শিল্পী সুশান্ত সরকার ওরফে হারু। মণ্ডপের আলোকসজ্জার দায়িত্বে রয়েছেন নবদ্বীপের একটি সংস্থা। আগামী মহা চতুর্থীতে দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে এই মণ্ডপ।
আজকের দিনের আধুনিক যন্ত্রপাতির ভিড়ে এই অভিনব থিম যে চমক নিয়ে আসছে বলা যেতেই পারে। তবে এই রকম আবহাওয়ায় বালুর ভাস্কর্যকে তাঁরা স্থায়ীভাবে কতটা তুলে ধরতে পারবেন? এমনটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
Comments