top of page

সাইবার ক্রাইম, ফেসবুকে হেনস্তা দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী

নিত্যসঙ্গী ফেসবুক। অন্তত বর্তমানে সমীক্ষাতো তাই বলছে। সেই নিজউ হোক, স্পোর্টস হোক, এডুকেশনাল কোন তথ্যই হোক বা বন্ধুদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম। সমস্ত কিছুই একসাথে হয়ে যায়। আবার এই ফেসবুকেই হচ্ছে সাইবার ক্রাইম। সম্প্রতি দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে তাতে অশ্লীল ছবি পোস্ট করার অভিযোগ উঠেছে মালদার পুখুরিয়া থানা এলাকায়৷


দ্বাদশ শ্রেণির কলা বিভাগের ছাত্রী মধু (নাম পরিবর্তিত)। বাড়ি পুখুরিয়া থানা এলাকাতেই৷ বাবা ছোটো চাল ব্যবসায়ী৷ মা সাধারণ গৃহবধূ৷ তার একটি ভাই রয়েছে৷ এককথায় সুন্দরী৷ স্কুলের শিক্ষকরা জানিয়েছেন, পড়াশোনাতেও বেশ ভালো সে৷ দীর্ঘদিন ধরেই তার পিছনে ঘুরঘুর করত রোমিওর দল৷ কিন্তু সে কাউকেই পাত্তা দেয়নি৷ সম্ভবত সেকারণেই কেউ বা কারা তার নামে ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট তৈরি করে তাতে অশ্লীল ছবি ছড়িয়ে দিয়েছে৷ অ্যাকাউন্ট থেকে নানারকমভাবে পোস্ট করে হেনস্তা করছে তাকে।


ছাত্রীটির বাবা জানান, তাঁর মেয়ের কোনও মোবাইল ফোন নেই৷ তাঁদের বাড়িতে দুটি মোবাইল ফোন৷ একটি তাঁর কাছে থাকে, আরেকটি থাকে তাঁর স্ত্রীর কাছে৷ কোনও ফোনই অ্যান্ড্রয়েড নয়৷ বছর খানেক ধরেই তাঁদের ফোনে একাধিক নম্বর থেকে ফোন আসে৷ সেই সব ফোনে কখনও তাঁর মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব, কখনও বা অশ্লীল কথাবার্তা বলা হয়৷ সম্প্রতি এমন ফোন কলের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে৷ বিশেষত তাঁর মেয়ে ফোন ধরলে অশ্লীল প্রস্তাবের সংখ্যা বেড়ে যায়৷ এসবে তাঁরা অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন৷ কিন্তু মাসখানেক আগে সমস্যা বেড়ে যায়৷ কেউ বা কারা তাঁর মেয়ের নামে ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট তৈরি করে৷ সেই অ্যাকাউন্টে একাধিক অশ্লীল ছবি পোস্ট করা হয়৷ তাঁর মেয়ে বা তাঁরা কেউ এসব জানতেন না৷ মেয়ের বন্ধুরাই তাকে বিষয়টি জানায়৷ তিন দিন আগে তিনি বিষয়টি মৌখিকভাবে পুখুরিয়া থানায় জানান৷ কিন্তু পুলিশ তাঁর বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে চায়নি৷ এরপর গোটা ঘটনা জানিয়ে রবিবার তিনি পুখুরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত পুলিশ নীরব৷ তারা বলছে, এব্যাপারে আইটি সেলে অভিযোগ দায়ের করতে হবে৷ কিন্তু তাঁরা সেসব কিছু জানেন না৷ একটি বিষয়ই জানেন, এই ঘটনায় দিন দিন তাঁর মেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছে৷ মানসিক ভারসাম্য ঠিক না রাখতে পেরে পরবর্তীতে সে যদি আত্মঘাতী হয়, তবে তার দায়িত্ব পুলিশকে নিতে হবে৷

ছাত্রীটি জানায়, তার নামে ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্টের কথা বন্ধুরাই তাকে প্রথমে জানায়৷ কিছু ছেলে তাকে বলতে শুরু করেছে, কেন সে নিজের অ্যাকাউন্টে এমন খারাপ ছবি পোস্ট করেছে৷ সে কাউকে বোঝাতে পারছে না, তার কোনও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই৷ তার কোনও মোবাইল ফোনও নেই৷ কে বা কারা এই কাজ করেছে সে জানে না৷ এই পরিস্থিতিতে সে বাড়ি থেকে বেরোতে পারছে না৷ সে পুলিশকে সব জানিয়েছে৷ কিন্তু পুলিশ এখনও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি৷ সে পড়াশোনা করতে চায়৷ সুস্থভাবে বাঁচতে চায়৷

পুখুরিয়া থানার পুলিশ জানিয়েছে, ওই ছাত্রী ও তার অভিভাবকদের ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্টের স্ক্রিন শট সহ কিছু জরুরি তথ্য নিয়ে আসতে বলা হয়েছে৷ সেসব না পাওয়া গেলে এই ঘটনায় তদন্তই শুরু করা যাবে না৷ কিন্তু সেসব তথ্য এখনও তাঁরা পাননি৷ তথ্য পেলেই তাঁরা তদন্তে নেমে পড়বেন৷ যারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, তারাও ধরা পড়বে৷


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Comentarios


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page