top of page

ট্রেন বন্ধ, করোনায় পেশা পরিবর্তন করেও নাভিশ্বাস উঠেছে হকারের

করোনার জেরে বিপর্যস্ত দেশ তথা বিশ্ববাসীর জীবন। এই মারণ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন বিশ্বের এক কোটিরও বেশি মানুষ। মহামারীর জেরে এখনও শুরু হয়নি ট্রেন পরিসেবা। এই পরিস্থিতিতে সমস্যায় যেমন পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা তেমনি কাজ হারিয়েছেন ট্রেনের হকাররা।



গত মার্চ মাসে লকডাউন চালু হওয়ার পর ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর দূরপাল্লার কিছু ট্রেন চালু হলেও এখনও শুরু হয়নি লোকাল বা ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস। মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন ছোটো ব্যবসায়ী থেকে হকাররা। করোনার চেইন ব্রেক করতে ধাপে ধাপে চলছে লকডাউন। সংক্রমণ রুখতে সীমিত সংখ্যক ট্রেন বাস চলাচল করছে। এতেই সমস্যায় পড়েছেন হকাররা। এই পরিস্থিতিতে মাথায় হাত পড়েছে হকারদের।


পুরাতন মালদা তুতবাড়ির এক হকার ট্রেনে চা বিক্রি করতেন। কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে ব্যবসা না হওয়ায় আর্থিক অভাব মেটাতে আলু বিক্রি শুরু করেছেন তিনি। অনেকেই আবার বাড়িতে বসেই দিন কাটাচ্ছেন।



সঞ্জীব কুমার হালদার নামে এক হকার বলেন, "পাঁচ মাস ধরে বন্ধ ব্যবসা। অন্য কাজও করতে পারছি না। ব্যবসার উপর নির্ভর করেই চলত সংসার। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচের পাশাপাশি সংসারের অনেক খরচ রয়েছে। এই মুহূর্তে খুব খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছি।"

হকারদের একটা বড়ো অংশের দাবি, সরকারের উচিত এই নিম্নবিত্ত পরিবারগুলির আর্থিক সংস্থানের ব্যবস্থা করা। নইলে করোনা পরবর্তী সময়ে হকার পরিবারদের শোচনীয় পরিণতি হবে।




এদিকে মালদা রেলওয়ে ডিভিশনের ডিআরএম যতীন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, মালদা ডিভিশন তৈরি, অনুমতি মিললেই শুরু হবে ট্রেন পরিসেবা। রেল বোর্ডের চেয়ারম্যানকে রাজ্যের চিফ সেক্রেটারি আপাতত রেল চলাচল বন্ধ রাখার জন্য চিঠি লিখেছেন। সেই মত রেল চলাচল এখন বন্ধ রয়েছে তবে আমাদের জেলাবাসীর তরফ থেকে প্রতিনিয়ত আমাদের কাছে রেল চলাচলের জন্য আবেদন আসছে। তিনি আরও জানান, হাওড়া জামালপুর ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস চালানোর জন্য রীতিমতো জেলাবাসী তরফ থেকে আবেদন আসছে কিন্তু যতক্ষণ না রাজ্য সরকারের কাছ থেকে অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে ততক্ষণ রেল চলাচল করা সম্ভব নয়।


মালদা জেলার টাটকা নিউজ এখন আমাদের অফিসিয়াল টেলিগ্রাম চ্যানেলে। বিনামূল্যে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Comments


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page