চাকরি পেতে এখন লক্ষ লক্ষ টাকা দিতে হয়: খগেন মুর্মু
বামফ্রন্ট ছেড়ে এখন গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন। তাঁর কথায়, অনুশাসন সব মানুষকে শৃঙ্খলার পাঠ শেখায়৷ তিনি খগেন মুর্মু৷ আদ্যোপান্ত বামপন্থী খগেনবাবু এখন পুরাদস্তুর মোদী ভাবনার প্রচারক৷ এই মুহূর্তে তাঁকেই মালদার মতো জেলায় দলের আদিবাসী মুখ করার চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির৷ প্রার্থী করা হয়েছে উত্তর মালদার লোকসভা আসনে।
বর্তমান রাজ্য সরকার উন্নয়নের নামে বহু কিছু করছেঃ খগেন
খগেনবাবু জানান, দল প্রার্থী ঘোষণা করতে বেশ কিছুটা সময় নিয়েছে৷ প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর তিনি কলকাতা থেকে মালদায় ফিরেছেন৷ এই সময়ের মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে যে ধোঁয়া উঠেছিল, তা ভোটের আকাশে মিলিয়ে গেছে৷ এই মুহূর্তে তিনি চূড়ান্ত ব্যস্ত৷ তিনি ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতির লড়াই করছেন। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সারা দেশে উন্নয়নের যে প্রচেষ্টা চলছে, বিশেষত কৃষকদের উন্নয়নের স্বার্থে যে প্রচেষ্টা তাতে মানুষ দলে দলে শামিল হচ্ছেন৷ এই দলে যুব সমাজের অংশগ্রহণ তাঁকে আপ্লুত করেছে৷ সেকারণেই তিনি এই দলে যোগ দিয়েছেন৷
রাজ্য সরকারকে এক হাত নিয়ে খগেনবাবু বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকার উন্নয়নের নামে বহু কিছু করছে৷ তবে তাতে ছাত্র, যুব, শিক্ষক, কৃষক, পিছিয়ে পড়া মানুষদের কোনও উন্নয়ন হয়নি৷ উলটে এই মানুষরা আক্রান্ত হয়েছে, হচ্ছে৷ এখন এমনিতেই কোনও চাকরি নেই৷ তার মধ্যেও কোনও চাকরি থাকলে তা পেতে লক্ষ লক্ষ টাকা দিতে হচ্ছে৷ মুখ্যমন্ত্রী নিজেই সব উদ্বোধন কিংবা শিলান্যাস করছেন৷ কিন্তু এখানে স্থায়ী কোনও পরিকাঠামো গড়ে উঠছে না৷ গত ৮ বছরে এখানে কোনও শিল্প গড়ে ওঠেনি৷ তৃণমূল লুট করেই ক্ষমতায় আছে৷ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তারা মানুষের ভোট দেওয়ার গণতান্ত্রিক অধিকার লুট করেছে৷ গণনাকেন্দ্রে লুট করেছে৷ গণনাকেন্দ্রে সিভিক ভলান্টিয়ারও ছাপ্পা মারছেন৷ এবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে মানুষ নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন৷ কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনী যাতে কাজ না করতে পারে তার জন্য চেষ্টা চলছে।
দল ছাড়লেও এখনও সকালের চায়ের সঙ্গে গণশক্তি না পড়লে চলে না খগেনবাবুর৷ এনিয়ে প্রশ্ন করতেই বলে ওঠেন, ‘আমরা জনপ্রতিনিধি৷ প্রতিটি সংবাদপত্রই আমাদের পড়তে হয়৷ আমি সব কাগজই পড়ি৷ গণশক্তি পত্রিকাতেও অনেক কিছু পাওয়া যায়?’
এবারের ভোটের স্ট্রাটেজি নিয়ে খগেনবাবু বলেন, ‘২০১৪ সালে তৃণমূলের রমরমা বাজার৷ সেবার উত্তর মালদা কেন্দ্রে সেই তৃণমূলকে তৃতীয় স্থানে ঠেলে আমি দ্বিতীয় স্থান লাভ করেছিলাম৷ আর এবার বিজেপির ভালো সময়৷ বিশেষত দলে যেভাবে যুবসমাজ এগিয়ে আসছে তাতে আমি অন্তত ১০০ শতাংশ নিশ্চিত, এবার এই কেন্দ্রে আমি জিতছি৷’
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments