top of page

রাজনীতির মঞ্চে মুখোমুখি দুই প্রজন্ম, জমা পড়ল মনোনয়ন

চৈত্রের ভরদুপুর৷ তাপ উপেক্ষা করেই জেলা প্রশাসনিক ভবনের দিকে হাঁটায় ব্যস্ত লাল-সবুজ৷ দল বেঁধে৷ প্রশাসনিক ভবনের অনেক আগেই অবশ্য মিছিলের গতি রূদ্ধ৷ নিরাপত্তার কঠোর চাউনি৷ মোট ৫ জন৷ তার বেশি কিছুতেই নয়৷ কমিশনের ফতেয়া মেনে কংগ্রেস ও সিপিএমের প্রার্থী-পারিষদরা ঢুকে পড়লেন ভিতরে৷ অবশ্যই গত বিধানসভা ভোটের ছবি আজ দেখা যায়নি৷ আজ সবটাই যেন আলাদা আলাদা।


দুই প্রতিদ্বন্দ্বী একেবারে মুখোমুখি, জেলা রাজনীতিতে দুই প্রজন্ম৷

দু'দিন হাতে রেখে আজ নিজেদের মনোনয়ন পেশ করলেন পিতা-পুত্র৷ দক্ষিণ ও উত্তর মালদা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী আবু হাসেম খান চৌধুরি ও ইশা খান চৌধুরি৷ প্রায় একই সঙ্গে মঞ্চে প্রবেশ উত্তর মালদা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী বিশ্বনাথ ঘোষেরও৷ প্রশাসনিক ভবনের চারতলায় দুই প্রতিদ্বন্দ্বী একেবারে মুখোমুখি৷ জেলা রাজনীতিতে দুই প্রজন্ম৷ রাজনৈতিক লড়াই দূরে সরিয়ে রেখে একে অন্যের হাত চেপে ধরলেন, কাঁধেও হাত পড়ল৷ যেন অব্যক্ত অনুভূতি, 'তোমার শত্রু, আমার শত্রু, আমরা বন্ধু'৷ আজ বিশ্বনাথবাবুও নিজের মনোনয়ন পেশ করেছেন৷


এদিকে কোতুয়ালি ভবনে সকালের ছবিটা ছিল অন্যদিনের থেকে কিছুটা আলাদা৷ সকাল থেকেই ভবনের নূর কক্ষ বন্ধ৷ জানা গেল, সাতসকালে তিনি উত্তর মালদায় প্রচারে৷ তাঁর অবর্তমানে গোটা ভবন চত্বরটাই প্রয়াত নেতার দখলে৷ কংগ্রেসের দুই প্রার্থী জয়ধ্বনির মধ্যেই হাঁটা দিলেন বরকত সাহেবের সমাধিতে৷ সেখানে দোয়া চেয়ে উঠলেন গাড়িতে৷ কনভয়ের অভিমুখ মনস্কামনা মন্দিরের দিকে৷ ঠিক যেমনটা দেখা যেত বরকত সাহেবের জীবিতকালে৷ পুজো দিয়ে ফের গাড়িতে ওঠা৷ টাউন হলের সামনে দুই প্রার্থী মিশে গেলেন কর্মী-সমর্থকদের ভিড়ে৷


আবু হাসেম নিজের তো বটেই, ছেলের জয় নিয়েও দ্বিধায় নেই৷ খোলাখুলি জানিয়ে দিয়েছেন সেকথা৷ তাঁর কথায়, যে সামনে আসবে, তার সঙ্গেই লড়াই করব৷ কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী যে খোদ জেলা তৃণমূল সভাপতি! "তাতে কী হয়েছে? ৫ বছর আগেও তো আমার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল!" বোঝা গেল, নির্বাচনি নথি পেশ করতে এসে বেশ খানিকটা বয়স কমিয়েছেন, তার সঙ্গে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে ফেলেছেন ডালুবাবু৷ আর ইশার কথায়, "২০১৬ সালে সুজাপুর বিধানসভা কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আমার জ্যেঠু৷ জিতেছিল কিন্তু কংগ্রেসই৷" বাবার আত্মবিশ্বাস খানিকটা চুঁইয়ে তখন ছেলের মনে


আর বিশ্বনাথবাবু! তিনি আজ লোকসভা নির্বাচনে জয় পেরিয়ে পা রেখেছেন পরের বিধানসভা নির্বাচনে৷ দাবি করলেন, প্রচারে যে সাড়া পেয়েছেন তাতে তিনি এখন নাকি দ্বিতীয় স্থানে৷ নিজের দলের লোকজন নয়, এই বার্তা আসছে বিরোধীদের কাছ থেকেই৷ তাহলে আর যে কয়েকটা দিন আছে, তাতে তিনি প্রথমে চলে আসবেন৷ উত্তর মালদা ঘুরে ঘুরে নির্বাচকদের কাছ থেকে সেই বার্তাটা পেয়ে গেছেন৷ তাই তিনি আজ ঘোষণা করে দিচ্ছেন, ২১-এর নির্বাচনে রাজ্যে ক্ষমতায় আসছে বামফ্রন্ট৷


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন


תגובות


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page