নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে
১০ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। নির্যাতিতা নাবালিকা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরিবারের পাশাপাশি গ্রামবাসীদের অভিযোগ, অভিযুক্ত সক্রিয় তৃণমূল কর্মী হওয়ায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুরে।
নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবারের লোকজন জানান, গত শনিবার দুপুরে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরেই স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে নদীতে স্নান করতে গিয়েছিল ওই নাবালিকা। সেখান থেকে তাকে ফুসলিয়ে পাটখেতে নিয়ে যায় গ্রামেরই এক যুবক। পাটখেতেই মুখে গামছা বেধে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে সে। কিছু সময় পর বাড়ি ফিরে ঘুমিয়ে পড়ে ওই নাবালিকা। রাতে খাবার জন্য ঘুম থেকে তোলা হলে ওই নাবালিকা জানায়, তার সারা শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা। এরপরে জিজ্ঞাসাবাদে পুরো ঘটনা সামনে আসে। তড়িঘড়ি তাকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা ওই নাবালিকাকে হাসপাতালে রেফার করে দেন। শারীরিক পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মিললেও মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে প্রথমে অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অবশেষে গত মঙ্গলবার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
নির্যাতিতা নাবালিকার এক দাদা জানান, বোন, ভাইপো এবং আমার ছেলেও একসঙ্গে নদীতে স্নান করতে গিয়েছিল৷ ওদের সামনে থেকেই ওই যুবক বোনকে পাটখেতে নিয়ে যায়৷ এলাকারই যুবক হওয়ায় কারও সন্দেহ হয়নি। রাতে বোন সব ঘটনা খুলে বলে৷ বর্তমানে বোন হাসপাতালে ভর্তি৷ পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে৷ তৃণমূল কর্মী হওয়ায় পুলিশ ওকে গ্রেফতার করছে না৷
অভিযুক্ত যুবকের স্ত্রী জানান, সেদিন কী ঘটেছিল জানা নেই। গ্রামের লোকজন বলছে, আমার স্বামী নাকি এমন ঘটনা ঘটিয়েছে৷ স্বামীর খোঁজে বাড়িতে পুলিশ এসেছিল৷ কিন্তু শনিবার থেকেই স্বামী ঘরের বাইরে৷ কোথায় গিয়েছে জানি না৷ ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না৷
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত যুবক পলাতক। তার খোঁজে পুলিশি তল্লাশি জারি রয়েছে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments