ধর্ষণে বাধা, ছুরি দিয়ে গলা কাটার অভিযোগ
স্বামীর অবর্তমানে এক বধূকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে প্রতিবেশী এক যুবক৷ ধর্ষণে বাধা পেয়ে সেই যুবক ধারালো ছুরি দিয়ে ওই বধূর গলা কেটে দেয়৷ আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই বধূ বর্তমানে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ যদিও এই ঘটনায় এখনও পুলিশে অভিযোগ জানাতে পারনেনি ওই বধূর পরিবারের লোকজন৷ সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷
ঘটনাটি রতুয়া থানা এলাকার এক প্রত্যন্ত গ্রামের৷ সেখানেই দীর্ঘদিনের বসবাস আক্রান্ত বধূ ও তাঁর স্বামীর৷ প্রায় ৮ বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়৷ বধূর বাবার বাড়ি ভূতনি থানা এলাকায়৷ তাঁদের দুটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে৷ অত্যন্ত গরিব পরিবার৷ পরিবারের অন্ন সংস্থানে কর্তা বছরের বেশিরভাগ সময় ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন৷ মূলত দিল্লিতেই কাজে যান তিনি৷ মাস তিনেক আগে স্বামীর সঙ্গে দিল্লিতে কাজে যান আক্রান্ত বধূও৷ মাসখানেক কাজ করে তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন৷ তাঁর স্বামী এখনও দিল্লিতে রয়েছেন৷
দিল্লিতে কাজ করার সময় বছর আঠাশের ওই বধূর সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার চেষ্টা করে একই গ্রামের বাসিন্দা সুকারিয়া চৌধুরি নামে এক যুবক৷ একই গ্রামের বাসিন্দা হওয়ায় সুকারিয়াকে চিনতেন বধূর স্বামীও৷ মাঝেমধ্যে সুকারিয়া দিল্লিতে তাঁদের ডেরায় এলেও কর্তার তেমন কোনও সন্দেহ হয়নি৷ সেই সুযোগ নিয়ে সুকারিয়া ওই বধূকে প্রেম নিবেদন করতে থাকে৷ আক্রান্ত বধূর বোন জানান, জামাইবাবুর অবর্তমানে সে দিদির বাড়িতেই থাকে৷ দিল্লি থেকে কাজ করে তার দিদি বাড়ি ফেরার কিছুদিন পর সুকারিয়াও বাড়ি চলে আসে৷ তারপর থেকে সে মাঝেমধ্যেই তার দিদির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করত৷ কয়েকদিন আগে রাতে সে দিদির ঘরে ঢুকে পড়েছিল৷ কিন্তু দিদি সুকারিয়াকে তাড়িয়ে দেয়৷ এদিন ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ সে ফের তার দিদির ঘরে ঢুকে পড়ে৷ সে তার দিদিকে ধর্ষণ করতে চায়৷ তার দিদি চিৎকার করার চেষ্টা করলে সে দিদির মুখ চেপে ধরে৷ ধর্ষণে বাধা পেয়ে সে দিদির গলা ধারালো ছুরি দিয়ে কেটে দেয়৷ সেই সময় তারা সবাই ঘুমিয়ে ছিল৷ রক্তাক্ত অবস্থায় তার দিদি তাকে ঘুম থেকে ওঠায়৷ তাকে সব কথা জানায়৷ সে প্রতিবেশীদের সমস্ত ঘটনা জানায়৷ প্রতিবেশীদের সহায়তায় দিদিকে মালদা মেডিকেলে ভরতি করা হয়েছে ৷ তবে দিদির চিকিৎসার জন্য তারা এখনও সুকারিয়ার নামে পুলিশে অভিযোগ জানাতে পারেনি৷ এদিনই সেই অভিযোগ দায়ের করা হবে৷ সুকারিয়া এখনও গ্রামেই রয়েছে৷
রতুয়া থানার পুলিশ জানিয়েছে, এসন ঘটনার কথা তাদের জানা নেই৷ খোঁজখবর নিয়ে দেখা হচ্ছে৷ অভিযোগ দায়ের হলেই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
ভিডিয়োঃ কৃতাঙ্ক
Comments