বোমা বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত্যু
এদিন ভোরে রতুয়া থানার বালুপুর এলাকার রাস্তার ধার থেকে ক্ষতবিক্ষত এক মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদায়৷ ওই মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ অভিযোগ উঠেছে, মানিকচকে এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বাঁধার সময় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির৷ তবে বোমা বিস্ফোরণের বিষয়ে মানিকচক থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি৷ অভিযোগ অস্বীকার করেছে মানিকচক থানার পুলিশও৷ মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকেও এখনও পর্যন্ত পুলিশে কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি৷ ফলে গোটা ঘটনা নিয়েই রহস্য দানা বেঁধেছে জেলায়৷
মৃতের নাম আবদুল বারিক৷ বয়স ৪৫৷ বাড়ি রতুয়া থানারই বিলাইমারি সংলগ্ন আজিজটোলা গ্রামে৷ এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসাবেই পরিচিত সে৷ শুধু তাই নয়, আজিজটোলা গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, মৃত ব্যক্তি বোমা তৈরিতে পারদর্শী৷ বিভিন্ন জায়গায় বোমা তৈরিতে তার ডাক পড়ে৷ সে আগে সিপিএম করত৷ বর্তমানে তৃণমূল করে৷ যে জায়গায় তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে, সেখান থেকে তার বাড়ি প্রায় ২১ কিলোমিটার দূরে৷
মৃতের এক আত্মীয় জালালুদ্দিন বলেন, এদিন ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ একটি ক্লাব থেকে তাঁকে ফোন করে জানানো হয়, বারিকের দেহ বাহারালের কাছে রাস্তার ধারে পড়ে রয়েছে৷ থানাতেও সেই খবর দেওয়া হয়৷ খবর পেয়ে রতুয়া থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়৷ সেই খবর পেয়ে তাঁরা রতুয়া থানায় ছুটে যান৷ দেখেন, মৃতদেহটি বারিকের৷ প্রাথমিকভাবে তাঁদের ধারনা, বোমা বিস্ফোরণে তার মৃত্যু হয়েছে৷ রতুয়া থানার পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজে পাঠিয়ে দিয়েছে৷
এদিকে এদিন সকালেই চাউর হয়ে যায়, মানিকচকের নূরপুরে তৃণমূল নেতা জিন্নাত ডিলারের বাড়িতে বোমা বাঁধতে গিয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে৷ আহত হয়েছে আরও দু’জন৷ সেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় সংবাদমাধ্যম৷ কিন্তু সেখানে বোমা বিস্ফোরণের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি৷ খোঁজ পাওয়া যায়নি দুই আহতেরও৷ যদিও এলাকার সিপিএম নেতা তথা বিদায়ী জেলা পরিষদের সদস্য মোজাফ্ফর হোসেন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গতকাল রাতে নূরপুরে বোমা বিস্ফোরণের খবর তিনি শুনেছেন৷ তাতে নাকি একজনের মৃত্যুও হয়েছে৷ তাঁদের কাছে খবর আছে, কোনও কোনও জায়গায় বহিরাগতদের দিয়ে ভোটে গণ্ডগোল করার চেষ্টা, এমনকি লুঠপাট করার চেষ্টা হতে পারে৷ মোজাফ্ফর সাহেব আরও বলেন, নুরপুরের কয়েকটি বুথ দখল করার চেষ্টা হবে বলে তাঁরা শুনছিলেন৷ তাঁরা প্রশাসনের কাছে ভোটে শান্তি বজায় রাখার ব্যবস্থা করার জন্য আবেদন জানাচ্ছেন৷ তাঁদের কাছে খবর, আগামীকাল ভোটে গোলমাল লাগানোর চেষ্টা করা হতে পারে৷ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই সেই চেষ্টা করবে৷ নিশ্চিত হার জেনেই তারা সেই চেষ্টা করবে৷ তবে তাদের হামলা প্রতিরোধ করার জন্য এলাকার জনগণও প্রস্তুত রয়েছে৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comentários