নির্বাচনের বিবাদ আঁছড়ে পড়ল বাড়ির উঠোনে
নির্বাচনের সন্ত্রাস এলাকা থেকে বাড়ির উঠোন পর্যন্ত চলে এল। গতকাল রাতে ভিন্নদলের সমর্থক হওয়ায় পরিবারের অন্য সদস্যদের হাতে আক্রান্ত হলেন তৃণমূলের এক সদস্য। বর্তমানে তিনি মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গতকাল রাতে ঘটনাটি ঘটেছে রতুয়া ২ ব্লকের পীরগঞ্জ গ্রামে।
আহত সদস্যের নাম নইমুদ্দিন শেখ। বয়স ৪৫ বছর। প্রাক্তন কংগ্রেস কর্মী নইমুদ্দিন সম্প্রতি তৃণমূলে যোগদান করে। ভোটের প্রচারে তৃণমূলের হয়ে ময়দানে নেমে পড়ে। এতেই আপত্তি তাঁর বাবা সহ অন্য ভাইদের। এনিয়ে বহুদিন থেকেই মন কষাকষি চলছিল। অবশেষে এদিন তা সংঘর্ষে রূপান্তরিত হয়।
নইমুদ্দিনের স্ত্রী নাজমা বিবি জানান, প্রতিদিনের মতো গতকালও তাঁর স্বামী প্রচারের কাজকর্ম সেরে ঘরে ফিরে আসেন৷ সেই সময় তিনিও প্রচারের কাজে ঘরের বাইরে ছিলেন৷ তিনি বাড়ি ফিরে দেখেন, পরিবারেরই সদস্য রফিক, তারিকুল, মিনা ও রামজান তাঁর স্বামীকে মারধর করছে৷ তবে কী দিয়ে তারা তাঁর স্বামীকে মেরেছে তিনি তা জানেন না৷ সেই দৃশ্য দেখে তিনি চিৎকার শুরু করলে তাঁদের দলের কর্মীরা বাড়িতে ছুটে আসেন৷ তখন হামলাকারীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়৷ সময় নষ্ট না করে তারা স্বামীকে নিয়ে যান স্থানীয় আড়াইডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে৷ সেখানে পুলিশও আসে৷ পরে তাঁর স্বামীকে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়৷ তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি তিনি৷
এদিকে গতকাল রাতে হবিবপুর থানার দোলমালপুর কলোনি এলাকাতেও তৃণমূলের আরেক কর্মীর উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেস কর্মীদের বিরুদ্ধে৷ আক্রান্তের নাম রতন সিংহ। বয়স ৪২ বছর। গতকাল রাতে এলাকায় প্রচার চালানোর সময় আক্রান্ত হন তিনি৷ তাঁকে প্রথমে বুলবুলচণ্ডী গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি করা হয়৷ পরে তাঁকেও মালদা মেডিকেল কলেজে রেফার করে দেওয়া হয়েছে৷ এই ঘটনায় অবশ্য হবিবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে৷ পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
ছবিটি প্রতীকী।
Comments